দূতাবাস গুলো জনগণের স্বার্থ বিরোধী, মিথ্যাচার এবং প্রতারণা করার কাজে লাগানো হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপি সুস্পষ্টভাবে বলতে চায়, এখনো সময় আছে, এই অপতৎপরতা বন্ধ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করার ব্যবস্থা নিন। সুষ্ঠ , নিরপেক্ষ ও অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দূতাবাস সমূহ দলীয়করণ করে জনগণের স্বার্থ বিরোধী, মিথ্যাচার এবং প্রতারণা করার কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সকলেই অবগত আছেন, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে কেবলমাত্র তার অবৈধ শাসন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নগ্নভাবে দলীয়করণ করে চলছে । রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ভিন্নমত দমন করার কাজে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। গুম,খুন,ক্রসফায়ারের নামে হত্যা,বিচার বর্হিভূত হত্যা কান্ড রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে। ফলশ্রুতিতে লজ্জা জনক ভাবে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এবং তার কর্মকর্তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে যা জাতির জন্য অত্যন্ত কলংক জনক। সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার চৌধুরী আলমসহ প্রায় ৬০০ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী (Enforced disappearance) গুম হয়েছে। সহস্রধীক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৩৫ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এর সুস্পষ্ট বয়ান বিভিন্ন সময়ে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। এ অপতৎপরতার ফলশ্রুতিতে , দেশ আজ এক ভয়ানক অবস্থার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। জনগণের ভোট বিহীন এই সরকার, জনগণ ও তার প্রতিনিধিত্বকারী বিরোধী রাজনৈতিক দলের অধিকার এবং মতামতকে প্রথম থেকেই নাকচ করতে চেয়েছে। সে কারণেই তারা জন আস্হা অর্জনকারী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করেছে এবং বিচারবিভাগের উপরে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এভাবেই তারা পদ্ধতিগতভাবে বাংলাদেশের আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগকে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। রাস্ট্র্র চতুর্থ স্তম্ভ গনমাধ্যমের গলা টিপে ধরেছে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট জারী করে। আমরা গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সাথে আবারও বলতে চাই, গত প্রায় এক যুগ যাবৎ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান ফ্যসিস্ট ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক গোষ্ঠী দেশের সকল সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান সমুহকে যেভাবে ধবংস করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে প্রায় একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের পর্যায়ে এনে দাড় করিয়েছে। তা জনগণ বরদাস্ত করবে না। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসী তথা বিবেকবান বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করতে চাই, সাম্প্রতিক কালেও প্রতিষ্ঠান ধবংসের ওই সরকারি অপতৎপরতা কিভাবে চলছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চলমান অপতৎপরতার সর্বশেষ প্রমাণ হচ্ছে, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ক্যাডার সমন্বয়ে গঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দলীয় তৎপরতা। পৃথিবীর দেশে দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষা দেয়াই পররাষ্ট্র মন্তণালয়ের অধীনস্থ সকল দূতাবাস সমূহের দায়িত্ব। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ওই দূতাবাস সমূহের সকল রাষ্ট্রের ব্যয় বহন করা হয় এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকায়ই সকল দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বহন করা হয়। অথচ,কি নির্লজ্জ ও অপেশাদার উপায়ে সেই প্রতিষ্ঠানকেও দলীয়করণ করে জনগণের স্বার্থ বিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে, মিথ্যাচার এবং প্রতারণা করার কাজে লাগানো হচ্ছে ,তার কিছু সাম্প্রতিক উদাহরণ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।যা ইতোমধ্যেই আপনারা সকলেই অবগত। গত ৩১ জানুয়ারি,২০২২ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল কমিটির চেয়ার জনাব গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন। উল্লেখ্য, কংগ্রেসম্যান গ্রেগোরি মিকসের নির্বাচনী আসনের আওতাধীন ‘জ্যামাইকা এলাকায়’ বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি আমেরিকানদের বসবাস। যারা ওই এলাকার ভোটারও বটে। যার প্রধান উদ্যেক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একজন নেতা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে প্রসঙ্গক্রমে মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সাম্প্রতিক “নিষেধাজ্ঞা”র প্রসঙ্গটি সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগনেটস্কি আইনের কথা উল্লেখ করেন। যে আইনের অধীনেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বিদেশি যেকোনো ব্যাক্ত বা সংস্থার বিরুদ্ধে স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক এবং ঘৃণিত পদ্ধতিতে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কংগ্রেসেম্যানের বক্তব্যের একটি বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। যদিও ঐ অনুষ্ঠানে মার্কিন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ দূতাবাস আমন্ত্রিত ছিলো না। স্পষ্টতই একটি দলীয় মাধ্যমকে ব্যবহার করে ওই বক্তব্যকে বিকৃত করে বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসকে দিয়ে দেশে এবং বিদেশে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে ‘ফ্যাক্টস চেক’ করেন এমন একজন ফ্যাক্টস চেকার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, প্রায় সবগুলো সংবাদমাধ্যমে সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসস’র পাঠানো সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম দূতাবাসের পাঠানো প্রেস রিলিজটি হুবহু দাঁড়ি-কমাসহ প্রকাশ করেছে। উক্ত ফ্যাকটস চেকার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, তহবিল সংগ্রহের সভায় উপস্হিত জনৈক ব্যক্তি কংগ্রেসম্যান মিকসকে যে প্রশ্ন করেছেন সেটাই কংগ্রেসম্যান মিঃ মিকস-এর বক্তব্য হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জ ফখরুল বলেন, আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ট প্রভাবশালী বন্ধুরাষ্ট্রের বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে দেশী ও বিদেশী গণমাধ্যমে ধুম্রজাল সৃষ্টি করে শুধু সচেতন মানুষদের সাথেই প্রতারণা করেনি ,ওয়াশিংটন দূতাবাস বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চরমভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। কারণ, আপনারা সকলেই জানেন যে, ইতিমধ্যেই কংগ্রেসম্যান মিকস নিজেই গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে নাকচ করে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, তার নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন এফেয়ার্স কমিটির ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। মার্কিন হাউজ অব ফরেন এফেয়ার্স কমিটির ওয়েব সাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে তিনি সুস্পষ্টভাবে সম্প্রতি র্যাব ও তার বর্তমান ও সাবেক কয়কজন কর্মকর্তাদের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে বলেন, "মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে আমি দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দৃঢ় করা আমি সবসময় সমর্থন করব। আগামি নির্বাচন অবাধ ও তার সুষ্ঠতা নিশ্চিতকরণ সহ বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করার জন্য কাজ করব। ইতিপূর্বে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে সেখানে অবস্থিত দূতাবাস এর পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। আপনারা ব্রাসেলস দূতাবাসের ওয়েবসাইট ভিজিট করলে সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি এখনো দেখতে পাবেন। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর মত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দূতাবাসকে রাস্ট্রের বদলে আওয়ামীলীগের প্রচার প্রতিস্ঠানে পরিনত করার প্রমান। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী একাডেমিশিয়ান,সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা যখন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি, নির্বাচনের অনিয়ম , জনগণের ভোটাধিকার, ইত্যাদি সামগ্রিক এই হতাশাজনক পরিস্থিতি , জনগণের সামনে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে বই অথবা প্রচারপত্র বা আলোচনার উদ্যোগ নেন তখনই এই সরকার তার বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনির শক্তিকে ব্যবহার করে , তার নিজস্ব বাহিনীকে ব্যবহার করে অপকর্ম ঢাকার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হন। ভন্ডুল করে দেয় সব আয়োজন। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক,ব্রাসেলস সহ দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মকান্ড আবারও তা প্রমাণিত হলো। আপনাদের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে, দেশের বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার লাশকেও তারা চরমভাবে অপমান করেছিল। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য সহ বাংলাদেশী অধ্যুষিত বিভিন্ন শহরের কর্মকর্তাগণ সরকারি দলের অনুষ্ঠান সমূহে নিয়মিত উপস্থিত থেকে দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করেন। যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদাকেই ধুলিস্যাত করেছে। পেশাদারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ক্ষুদ্ধ হলেও মৌন থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েব সাইট ভিসিট করে দেখা গেছে গত ৩১ জানুয়ারি কংগ্রেসম্যান মিকস সংশ্লিষ্ট প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি তুলে নেয়া হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওয়েব সাইটে প্রেস রিলিজটি এখনো যথারীতি বহাল রয়েছে। যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দলীয়করণ করার “নির্লজ্জ প্রমাণের ডিজিটাল ডকুমেন্ট” ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ঘটনা সমূহ দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণ করেছে যে, গোটা রাষ্ট্রকে এই ফ্যাসিস্ট সরকার কিভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছে। ১৯৭৫’এ সংবিধান সংশোধন করে বাকশাল গঠন করার মধ্য দিয়ে তারা একপর্যায়ে যেমন সাংবিধানিকভাবে একদলীয় সরকার কায়েম করেছিল, রাষ্ট্রকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের পক্ষে এবং বিরোধীদল দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল, তার চেয়েও ফ্যাসিস্ট কায়দায় গোটা রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে এখন তারা ব্যবহার করেছে। যদিও সাংবিধানিকভাবে বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করা হয়নি। জাতীয় সংসদ, স্থানীয় সরকার কাঠামো, আমলাতন্ত্র, ফরেন সার্ভিস ক্যাডার থেকে শুরু করে সমস্ত ক্যাডার সার্ভিস,বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনি, বিচারিক কাঠামো, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন ও আইন সংস্কার কমিশন সহ সকল প্রতিষ্ঠানকেই তারা কেবলমাত্র অবৈধ ক্ষমতা প্রলম্বিত করার কাজে লাগিয়ে চলছে। এপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সুস্পষ্টভাবে বলতে চায়, এখনো সময় আছে, এই অপতৎপরতা বন্ধ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করার ব্যবস্থা নিন। সুষ্ঠ , নিরপেক্ষ ও অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নিশিরাতের ভোট নয়, জনগণের নির্বিঘ্ন ভোট প্রদানের জন্য জন্য সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে জনগণের সরকার গঠন করার মৌলিক শর্ত পূরণ করুন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: