নাইকো দুর্নীতি মামলা বিদেশি সাক্ষীদের সমন পাঠানোর আবেদন করেও প্রত্যাহার দুদকের

নাইকো দুর্নীতি মামলা বিদেশি সাক্ষীদের সমন পাঠানোর আবেদন করেও প্রত্যাহার দুদকের

প্রথম নিউজ, ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় এক এফবিআই কর্মকর্তা ও দুই কানাডিয়ান পুলিশকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন পাঠানোর আবেদন করেও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দুদকের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে জেরার দিন ধার্য ছিল। এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা দেন। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে মুহা. মাহবুবুল আলমকে জেরা করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ১৬ অক্টোবর জেরার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিন বিদেশি তিন সাক্ষীকে আদালতে এসে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন পাঠানোর আবেদন করেন দুদকের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। আদালত এ বিষয়ে তাকে শুনানি করতে বলেন। তখন তিনি আদালতকে বলেন, বাদীর সাক্ষ্য শেষ হলে এ বিষয়ে শুনানি করবেন। তখন আদালত আবেদনটি নট প্রেস করে নিতে বলেন। পরে মোশাররফ হোসেন কাজল আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেন।

এর আগে গত ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

বাকিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।