দাঙ্গার দায়ে ফ্রান্সে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের কারাদণ্ড

দাঙ্গার দায়ে ফ্রান্সে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের কারাদণ্ড

প্রথম নিউজ, ডেস্ক:  দাঙ্গায় জড়িত থাকার দায়ে পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৯ জুলাই) ফরাসি বিচারমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়েছেন। এসময় তিনি ম্যাজিস্ট্রেটদের ‘দৃঢ়’ প্রতিক্রিয়ার প্রশংসাও করেন।

গত মাসের শেষের দিকে ফ্রান্সজুড়ে মারাত্মক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে এবং এরই কয়েক সপ্তাহ পর জড়িতদের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হলো। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসের শেষের দিকে ফ্রান্সে দাঙ্গার কারণে ৭০০ জনেরও বেশি লোককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে দেশটির বিচারমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন। মোট ১ হাজার ২৭৮টি রায় দেওয়া হয়েছে।

এসব রায়ের মধ্যে ৯৫ শতাংশেরও বেশি আসামিকে ভাঙচুর থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফ্রান্সের বিচারমন্ত্রী এরিক ডুপন্ড-মোরেটি আরটিএল রেডিওকে বলেছেন, ‘দাঙ্গার পর অপরাধীদের দৃঢ় এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের জাতীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাও ছিল অপরিহার্য।’


গত মাসের শেষের দিকে ফ্রান্সের নানতেরেতে গাড়ির ভেতর নাহেল এম নামের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গুলি করেন এক পুলিশ সদস্য। এতে তার মৃত্যু হলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি রাজধানী প্যারিসসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভকারীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।

এছাড়া বিভিন্ন দোকানে লুটেপাটের ঘটনাও ঘটে। এসময় ফ্রান্সজুড়ে টানা কয়েকদিন যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে তা ২০০৫ সালের পর থেকে ফ্রান্সে হওয়া সবচেয়ে তীব্র নগর সহিংসতা বলে মনে করা হচ্ছে।

দাঙ্গার ঘটনার পর ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে আদালতকে অভিযুক্তদের কঠোর সাজা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বিচারমন্ত্রী ডুপন্ড-মোরেটি। এমনকি তার এই আহ্বানের পর দাঙ্গা সংক্রান্ত কিছু মামলা পরিচালনার জন্য ফরাসি আদালত সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও খোলা ছিল।

এএফপি বলছে, দাঙ্গার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৩ হাজার ৭০০ জনের গড় বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। তবে আটককৃত অপ্রাপ্তবয়স্কদের পৃথক শিশু আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

এর আগে ২০০৫ সালে শেষ বড় দাঙ্গার পর ফ্রান্সে প্রায় ৪০০ জনকে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।