ডেঙ্গু রোগী ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে, প্রাণহানি ১৫৬ জন
শুক্রবার ছুটি থাকায় রাজধানীর ৩৫টি হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীর তথ্য প্রেরণ করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। মিনিটে মিনিটে রোগী আসছে হাসপাতালে। হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জুলাই মাসের ২১ দিনে ১০৯ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২০ হাজার ৪৬৫ জনে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৬ জনে। এর মধ্যে নারী ৮৯ জন এবং পুরুষ ৬৭ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তবে শুক্রবার ছুটি থাকায় রাজধানীর ৩৫টি হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীর তথ্য প্রেরণ করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। এরমধ্যে মুগদা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি ৬টি এবং বেসরকারি ২৯টি হাসপাতাল রয়েছে। আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৮৯৬ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৯৩ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮৯৬ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৩৭ জনে। ঢাকার ৫৩টি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৫৬০ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৫১৬ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ১৮ হাজার ৫৬ জন এবং নারী ১০ হাজার ৩৮৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ হাজার ২১১ জন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাই মাসে শনাক্ত ২০ হাজার ৪৬৫ জন এবং মারা গেছেন ১০৯ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।