ডেঙ্গুতে একদিনে ৮ জনের মৃত্যু, ২১৬৮ রোগী ভর্তি
আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: ঢাকার বাইরেই এখন ডেঙ্গু রোগীর দাপট বেশি। বিভিন্ন জেলার ডেঙ্গুর গুরুতর রোগীরা ঢাকার হাসপাতালগুলোতে আসছেন। একদিনে আরও ৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত ২২ দিনে মৃত্যু ২৪২ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯৩ জনে। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুতে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৬৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪ হাজার ৩৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৫০ হাজার ১৭০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৪ হাজার ১৮৯ জন। মৃত ৪৯৩ জনের মধ্যে নারী ২৮১ জন এবং পুরুষ ২১২ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ১২৭ জন এবং রাজধানীতে ৩৬৬ জন।
আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ১৬৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৪২ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৩২৬ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ১৬৮ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮২৯ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৫৭০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪ হাজার ২৫৯ জন।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪ হাজার ৩৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ৬৫ হাজার ৬৮ জন এবং নারী ৩৯ হাজার ২৯১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৬ হাজার ৩৭ জন। অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন।
মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টের ২২ দিনে ৫২ হাজার ৫২৭ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ২৪২ জনের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।