শজিমেক হাসপাতালে হার্টের রোগীদের নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রাম

শজিমেক হাসপাতালে হার্টের রোগীদের নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রাম

প্রথম নিউজ,বগুড়া : বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে হার্টের রোগীদের নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রাম শুরু হতে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে  বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচজন রোগীকে নতুন পদ্ধতি অর্থাৎ হাতের রক্তনালি ব্যবহার করে এনজিওগ্রাম করা হয়। 
পরীক্ষামূলক এ এনজিওগ্রাম পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. আ ন ম মনোয়ারুল কাদির বিটু।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টায় বগুড়ার শেরপুরের বাসিন্দা আশরাফ আলীকে (৫০) দিয়ে নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রাম শুরু হয়। এরপর একে একে দুপুর পর্যন্ত আরও ৪ জনের এনজিওগ্রাম করা হয়। তারা সবাই সুস্থ রয়েছেন। 
শজিমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম শহীদুল হক জানান, নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক এনজিওগ্রাম সফল হয়েছে। খুব শিগগির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই পদ্ধতিতে এনজিওগ্রাম শুরু করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. আ ন ম মনোয়ারুল কাদির বিটু জানান, হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে পায়ের রক্তনালির পরিবর্তে হাতের নালির মাধ্যমে এনজিওগ্রাম এবং রিং পরানোর অনেক সুবিধা রয়েছে। সেগুলোর অন্যতম হলো- রক্তক্ষরণ কম এবং হাসপাতালে স্বল্প সময় অবস্থান করতে হয়। যে কারণে চিকিৎসা খরচও কমে আসে।

ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু বলেন, বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রাম করাটা আমার জন্য অন্যরকম এক অনুভূতি। কারণ আমি বগুড়ার মানুষ। তাছাড়া আমি এই কলেজের (শজিমেক) ছাত্র ছিলাম। ২০০২ সালে আমি এই কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছি। আর সে সময় আমার যারা শিক্ষক ছিলেন তাদের একজন শজিমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান এস এম শহীদুল হক স্যার আমাকে ডেকেছেন এবং এনজিওগ্রামের সময় তিনি পাশেও ছিলেন।
নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রামের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ্‌ কমিউনিটি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম হোসেন, শজিমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোরশেদুল শামিম, ওই হাসপাতালের একই বিভাগের অপর তিন সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহাদত হোসেন, ডা. আবু বকর জামিল ও ডা. অলক চন্দ্র সরকার, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ্‌ কমিউনিটি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইউনুস আলী।