টঙ্গীতে র‌্যাবের অভিযানে চার ডাকাত গ্রেপ্তার

শনিবার (২১ অক্টোবর) ভোরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

টঙ্গীতে র‌্যাবের অভিযানে চার ডাকাত গ্রেপ্তার

প্রথম নিউজ, ঢাকা: গাজীপুরের টঙ্গীতে অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেপ্তারকৃত চার ডাকাত হলেন, সঞ্জয় সরকার (৪৫), কামাল হোসেন (৩৬), ইসমাইল হোসেন (৫০) ও শাহজাহান (৪০)।

শনিবার (২১ অক্টোবর) ভোরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

র‌্যাব-১- এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. পারভেজ রানা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৩ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর বাজারের ‘মা জননী জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী দিলীপ রাজবংশী নিত্যদিনের মতো দোকান বন্ধ করে ২০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা সঙ্গে নিয়ে তার এক আত্মীয় সুপদ কুমারের মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। দৌলতপুরের চুনা বাড়ির মোড়ে গেলে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে দুটি মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাতপরিচয় চার ব্যক্তি তাদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ব্যারিকেড দিলে একটি মোটরসাইকেল ফেলে।  এ সময় চারজন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ব্যারিকেড দিয়ে মোটরসাইকেলসহ জসিম (৩৬) নামের একজনকে আটকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় দিলীপ রাজবংশী বাদী হয়ে তাদের নামে থানায় একটি ডাকাতি মামলা (নম্বর ৬/৮৪) দায়ের করেন। এতে দৌলতপুর থানা পুলিশ র‌্যাব-১- এর কাছে আসামিদের গ্রেপ্তারের সহায়তা চাইলে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আসামিরা আরও জানিয়েছেন তারা আন্তঃজেলা ডাকাতের সক্রিয় সদস্য ও তারা অস্ত্র ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এলাকার ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ডাকাতি করে আসছিলেন।  

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডাকাত সঞ্জয় সরকারের নামে বনানী থানায় একটি অস্ত্র ও একটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। কামাল হোসেনের নামে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা এবং অপর সদস্য ইসমাইল হোসেনের নামে রাজধানীর শাহআলী থানায় একটি ডাকাতি মামলা, কাফরুল থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় দুটি মাদক মামলা, যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অস্ত্র রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আইনি ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।