টাঙ্গাইলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের চিতুলীয়া পাড়াসহ ২০টি গ্রামে দেখা দিয়েছে যমুনার তীব্র ভাঙন।
প্রথম নিউজ, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের চিতুলীয়া পাড়াসহ ২০টি গ্রামে দেখা দিয়েছে যমুনার তীব্র ভাঙন। ভাঙনে নদী গিলে খাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। অব্যাহত ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধনসহ সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের চিতুলিয়া পাড়া এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এতে শত শত মানুষ অংশ নেন। অবরোধের কারণে উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
এদিকে খবর ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হসেন। তিনি তাৎক্ষণিক ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার ঘোষণা দেন। পরে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব আনোয়ার হোসেন বলেন, গত প্রায় একমাস থেকে এই এলাকায় ধরলার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে আমার বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
আমি পরিবার নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
মমিন নামের অপর একজন বলেন, নদীর ভাঙনের কারণে এপর্যন্ত আমি কয়েকবার আমার বসতভিটা হারিয়েছি। এবারের ভাঙনেও আমার বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন আর আমার বসতি গড়ে তোলার কোন জমিজমা নাই। পরিবার নিয়ে কোথায় যাব ভেবে পাচ্ছি না।
চিতুলীয়া পাড়ার গ্রামের দারা মিয়া বলেন, ‘কিছুদিন আগে স্থানীয় সাংসদ এসে বলে গেল অতিদ্রুত বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। অথচ গত এক সপ্তাহে তিন শতাধিক বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেল। ভাঙন বন্ধ করতে কোনো কাজ শুরু তো দূরের কথা, কেউ খোঁজখবর নিতেও আসেনি।’
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, ভাঙন ঠেকাতে যে এলাকায় জিও ফেলার দাবিতে লোকজন আন্দোলন করছিল সে এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ঘর করে দেয়া হবে। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।