জিম্মি মুক্তি স্থগিত হামাসের, সেনাদের প্রস্তুত থাকতে বলল ইসরায়েল

জিম্মি মুক্তি স্থগিত হামাসের, সেনাদের প্রস্তুত থাকতে বলল ইসরায়েল

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় ইসরায়েলের জিম্মিদের মুক্তি ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য স্থগিত করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ ঘোষণা দিয়েছে তারা। এ ঘোষণার পর হামাসের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ এনেছে ইসরায়েল। গাজায় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে দেশটি।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছেন, ‘গত তিন সপ্তাহে, প্রতিরোধ বাহিনীর নেতারা শত্রুদের (ইসরায়েল) চুক্তি লঙ্ঘন অনুসরণ করেছেন। তারা চুক্তির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। যার মধ্যে আছে বাস্তচ্যুত সাধারণ মানুষের উত্তর গাজায় ফেরা বিলম্ব করা, বিভিন্ন জায়গায় তাদের ওপর গোলা ও গুলি নিক্ষেপ। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে দিতেও ব্যর্থ হয়েছে তারা।

তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ইহুদিবাদী জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার যে সময় নির্ধারণ করা ছিল, সেটি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। যতক্ষণ দখলদাররা চুক্তির শর্ত পূরণ করবে ততদিন আমরা এতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ থাকব।’

১৫ মাস রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এরই মধ্যে হামাসের কাছে বন্দী থাকা ১৬ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মুক্তি পাচ্ছেন ইসরায়েলে বন্দী কয়েক শ ফিলিস্তিনিও। এ ধারাবাহিকতায় আগামী শনিবার আরও তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল হামাসের।

হামাসের এই ঘোষণার পর সেনাদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।
তিনি বলেছেন, ‘হামাসের জিম্মিদের মুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) যে কোনো পরিস্থিতি ও ইসরায়েলি কমিউনিটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা আবারও ৭ অক্টোবরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেব না।’