জনগণের উত্তাল আন্দোলনেই সরকার পতন হবে: টুকু

বুধবার (২৩ আগস্ট) নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণের উত্তাল আন্দোলনেই সরকার পতন হবে: টুকু

প্রথম নিউজ, ঢাকা : জনগণের উত্তাল আন্দোলনে সরকার পতন হবে উল্লেখ করে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, একটি কথাই বলা যায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না। আমাদের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার, আমাদের তা উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

টুকু বলেন, ‘সরকার তাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে এরা দেশে একদলীয় সরকার কায়েম করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে আছে। এরা মুখে বলে একটা কাজ করে আরেকটা। যুবদল সভাপতি বলেন, ‘সরকার নাকি দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছে। তাহলে সরকারের এত ভয় কেন? উন্নয়ন করে থাকলে তো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগই জয়ী হওয়ার কথা। আসলে তারা উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ লুট করেছে। জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’

গণতন্ত্রকামী মানুষ কখনও মাথা নত করে না, ‘এদেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের সরকার গঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে। যে মানুষটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ১৮ কোটি মানুষকে একত্রিত করেছেন সেই তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে আজ নির্বাসিত রাখা হয়েছে। আজকে দেশবাসী শপথ নিয়েছে যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফিরে না আসবে, খালেদা জিয়া মুক্ত না হবে এবং তারেক রহমান বীরের বেশে এদেশে ফিরে না আসবে ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়বো না।’

এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ’র মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের  সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির সিদ্দিকী, জাকির হোসেন নান্নু, তরিকুল ইসলাম বনি, মাহবুবুল হাসান পিংকু,  গোলাম মোস্তফা সাগর, হারুনুর রশীদ শিশির, কামরুজ্জামান দুলাল, রেজাউল করিম পল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী, জাভেদ হাসান স্বাধীন, সাইদুর রহমান, আজিজুর রহমান আকন্দ, সহ-সাধারন সম্পাদক শাহ নাসিরুদ্দীন রুমন, আসাদুজ্জামান পলাশ, এম কামরুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, কোষাদক্ষ গোলাম মোস্তফা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সুমন দেওয়ান, সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, আরো যারা উপস্থিত ছিলেন, আমান উল্লাহ বিপুল, আরাফাত বিল্লাহ খান, পার্থদেব মন্ডল, আমিনুর রহমান আমিন, মাজেদুল ইসলাম রুমন, কামরুজ্জামান নান্নু, মিজানুর রহমান সুমন, সেলিম হোসেন মুন্না প্রমুখ।