চাকরির বয়সসীমা ৩৫ দাবি: পুলিশের লাঠিপেটায় শাহবাগ ছাড়ল আন্দোলনকারীরা

শাহবাগে মূল সড়কে অবস্থান করায় আশপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ দাবি: পুলিশের লাঠিপেটায় শাহবাগ ছাড়ল আন্দোলনকারীরা

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করাসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। দুপুর থেকে চলা এই আন্দোলন গড়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত। শাহবাগে মূল সড়কে অবস্থান করায় আশপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় ৯ জনকে আটক করা হয়। 

শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনকারী আটক ৯ জনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটকেরা হলেন—আব্দুর রহমান (২৭), আরিফ হোসেন (২২), আবু বকর ছিদ্দিক (৩০), রোকন হোসেন (৩০), শরিফুল হাসান শুভ (৩২), তাসনিমুল হাসান অর্ণব (২৭), রাকিবুল হাসান (২৮), মো. মামুন রশিদ রতন (৩০), ও মো. জাকির হোসন (২৯)। 

‘চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’-এর অন্যতম সংগঠক মোস্তফা ফয়সাল বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিপেটা করেছে। আন্দোলনকারীদের অনেককে আটক করেছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছে। এটা কোনো আইনি ব্যবস্থা হতে পারে না। আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম।’ 

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দুপুরে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পরে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে আন্দোলনকারীরা সমাবেশ থেকে বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা রাস্তা ছেড়ে যাবেন না। তখন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়। 

চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে আবেদনের ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ প্রথম শ্রেণিতে ২০০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৫০ টাকা, তৃতীয় শ্রেণিতে ১০০ টাকা ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫০ টাকা করতে হবে। 

এদিকে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আশরাফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা একটি দাবি নিয়ে শাহবাগ মোড় বিকেল থেকে অবরোধ করে রেখেছিলেন। আমরা জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের নেতৃবৃন্দকে ভিডিও কল, ভয়েস কলে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলাম। উনি তাঁদের ঘণ্টাখানেক বুঝিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার। সচিবালয়ে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। এর পরও তাঁরা অবরোধ তুলছিলেন না। পরে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে পুলিশি বেসিক অ্যাকশনে গিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। তাঁদের ওপর কোনো লাঠিপেটা করা হয়নি।'