ঘর-সংসার ও কাজ বাদ দিয়ে রাজপথে মিছিল করুন: সমাবেশে মান্না
শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক নারী ঐক্যের উদ্যোগে ‘দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে’ এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, মা-বোনদের বলছি, রান্নার ঘরে কাজ বাদ দিয়ে, ঘর-সংসারের কাজ বাদ দিয়ে আপাতত কিছু সময়ের জন্য বিরোধীতা হলেও রাজপথে আসেন এবং মিছিল করেন। রিকশাচালক ভাইদের বলি, একঘণ্টা রিকশা চালালে হয় তো ৪০ টাকা কামাই করবেন। কিন্তু সেই একঘণ্টা মিছিল করেন। শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক নারী ঐক্যের উদ্যোগে ‘দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে’ এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করে নাগরিক নারী ঐক্যের আহ্বায়ক শাহনাজ রানু।
তিনি বলেন, সরকারকে বলেছি, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে। না যদি কমাতে পারো তাহলে যতো তাড়াতাড়ি পারো চলো যাও। ওরা যাবে? না যদি যায় তাহলে মা-বোনদের বলছি, রান্নার ঘরে কাজ বাদ দিয়ে, ঘর-সংসারের কাজ বাদ দিয়ে আপাতত কিছু সময়ের জন্য বিরোধীতা হলেও রাজপথে আসেন, মিছিল করেন। রিকশাচালক ভাইদের বলি, একঘণ্টা রিকশা চালালে হয় তো ৪০ টাকা কামাই করবেন। কিন্তু সেই একঘণ্টা মিছিল করেন। পুলিশের গায়ে ঢেল দেয়ার দরকার নাই, লাঠির বাড়ি দেয়ার দরকার নাই। আমরা কোন সহিংস আন্দোলন করার কথা বলছি না। তবে আমরা বলছি, সবাই মিলে যদি পথে নামে তাহলে সরকারকে চলে যেতে হবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার হলো সিন্ডিকেটের সরকার। সরকার হলো লুটেরা ব্যবসায়ীদের সরকার। সরকার যে শুধু ভোট ডাকাতি করে তা মনে করবেন না। এজন্য আমরা সংগ্রাম করছি।আমাদের সংগ্রাম বন্ধ হয়নি। আমাদের সংগ্রাম কি আমরা থামিয়ে দিয়েছি? তিনি আরও বলেন, এই যে সরকার আসলো না কি গেলো, সেটা অবশ্য ভালো করে বোঝা যায় না। সুতরাং এটা তাদেরই (আওয়ামী লীগ) সরকার। ভোট একটা হয়েছে, সেটা তো ভোট না। ভোটের নামে যেটা হয়েছে, ওর চেয়ে বড় ফাজলামি বাংলাদেশে হয় নাই। ভোটের নামে যেটা হয়েছে, এতো বড় ফোরটোয়েন্টি পৃথিবীর ইতিহাসে হয় নাই। অর্থাৎ এই রকম একটা সরকার ফাজলামির সরকার, ফোরটোয়েন্টির সরকার।
মান্না বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা জনগণের মতের ভিত্তিতে আসেনি। তারা জনগণের ভোটে আসেনি। জনগণ ভোট দিক কিংবা না দিক, ওরা (সরকার) চুরি করে, ডাকাতি করে এবং ছলচাতুরি করে, যেকোনভাবে ক্ষমতায় আছে। যেহেতু তারা ক্ষমতায় আছে, সেজন্য আমাদের কথা তাদের শুনতে হবে এবং আমাদের কথা মতো তাদের কাজ করতে হবে। এখানে প্রশ্ন আসে, সরকার যদি আমাদের কথা না শুনে। একারণেই আজকের এই সমাবেশ।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, দেশের আজকে যে সংকট। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকট। জিনিসপত্রে দাম বেড়ে যাওয়া। এসমস্ত বিষয়ে দেশের অর্ধেক নারী একইভাবে উদ্বিগ্ন। এজন্য তারা কথা বলছেন এবং তারা প্রতিবাদ করছেন। আর প্রতিদিনই সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার এব্যাপারে কিছু করতে পারছে না।