কাজ না করেই ৩৮ প্রকল্পের টাকা লুটপাট
৩৮টি প্রকল্পের পাঁচ-ছয়টিতে নামমাত্র কাজ করে কাগজে-কলমে কাজ শেষ দেখিয়ে ৮৮ লাখ টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
প্রথম নিউজ, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে। ৩৮টি প্রকল্পের পাঁচ-ছয়টিতে নামমাত্র কাজ করে কাগজে-কলমে কাজ শেষ দেখিয়ে ৮৮ লাখ টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এর সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিরা জড়িত বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাস্তবে একটি প্রকল্পেও পরিপূর্ণভাবে কাজ শেষ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজই করা হয়নি। পাঁচ-ছয়টিতে নামমাত্র কাজ হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিরা (মেম্বাররা) ভুয়া শ্রমিকদের দিয়ে রকেট অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৩৮টি প্রকল্প ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পের আওতায় মির্জাপুর ইউনিয়নে চারটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৯ লাখ ৪৮ হাজার, ভূনবির ইউনিয়নে চারটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় আট লাখ ৮৪ হাজার, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নে পাঁচটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১২ লাখ ২১ হাজার, সিন্দুরখান ইউনিয়নে পাঁচটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৯ লাখ ৯৭ হাজার, কালাপুর ইউনিয়নে পাঁচটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৩ লাখ ৭৩ হাজার, আশিদ্রোন ইউনিয়নে পাঁচটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১১ লাখ ৭৩ হাজার, রাজঘাট ইউনিয়নে চারটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৯ লাখ ৮৮ হাজার, কালিঘাট ইউনিয়নে চারটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় আট লাখ ২০ হাজার ও সাতগাঁও ইউনিয়নে দুটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় চার লাখ ৪২ হাজার টাকা। ৩৮টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮ লাখ টাকা।
প্রকল্পের শ্রমিক হাজিরা খাতার তথ্যমতে, কাগজ-কলমে বাস্তবায়িত ৩৮টি প্রকল্পের বরাদ্দের অনুপাতে ২৫-৩০ জন করে এক হাজার ৯৭ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের শর্তমতে, প্রতিটি প্রকল্পের বিপরীতে এলাকার দিনমজুর, বেকার, কর্মহীন নারী-পুরুষরা শ্রমিক হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন এবং ৪০ দিন টানা কাজ করবেন। জনপ্রতি পাবেন ৪০০ টাকা। এতে একজন শ্রমিক মোট পাবেন ১৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা রকেট কিংবা বিকাশ অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাজ পাওয়ার পর তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বারদের শ্রমিক তালিকা করার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যানরা। তারা এক হাজার ৯৭ জন দিনমজুর ও চা-শ্রমিকের তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন। ওই সময় শ্রমিকদের রকেট অ্যাকাউন্ট খুলে সিমকার্ড নিজেদের কাছে রেখে দেন মেম্বাররা। প্রতি ইউনিয়নে প্রকল্পের বিপরীতে ২০-৩০ জন শ্রমিককে কাগজপত্রে নিয়োগ দেখানো হয়। তালিকা অনুমোদন পাওয়ার পর তালিকাভুক্তদের বাদ দিয়ে বাইরের ১০-১২ শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পে নামমাত্র কাজ করানো হয়।
তালিকাভুক্ত একাধিক শ্রমিক জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজের কথা বলে তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও রকেট অ্যাকাউন্টের সিমকার্ড নিয়ে গেছেন মেম্বাররা। কখন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে আর কখন শেষ হয়েছে তা জানেন না তারা। অথচ তাদরে রকেট অ্যাকাউন্টে আসা টাকা তুলে আত্মসাৎ করছেন প্রকল্প সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা।
সরেজমিনে দুটি প্রকল্পের অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও সেখানে নামমাত্র মাটি ফেলে কাজ শেষ দেখানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজে কাগজ-কলমে ২০-২৫ জন করে শ্রমিক দেখিয়েছেন প্রকল্প সভাপতি। বাস্তবে তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হয়নি। কয়েকজন ভুয়া শ্রমিক কাজ করেছেন। শুধু শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম নয়; অধিকাংশ প্রকল্পের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। কাজ না করেই অন্তত ৩০টি প্রকল্পের অর্থ শ্রমিকদের রকেট অ্যাকাউন্টের সিমকার্ড হাতে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ইউপি সদস্য জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ছিল ২০ দিন। এর মধ্যে ১৪ দিন বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টিপাতের সুযোগ নিয়ে গত জুন মাসে কয়েকটি প্রকল্পে কয়েকদিন মাটি ফেলার কাজ করে কাজ শেষ দেখানো হয়েছে। বৃষ্টিপাতের সুযোগ নেওয়া হয়েছিল এজন্য, যাতে সংশ্লিষ্টরা দাবি করতে পারেন, বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের যোগসাজশে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে এমন কাজ করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতিরা।
সরেজমিনে ২৬ নম্বর আশিদ্রোন ইউনিয়নের রামনগর মন্তাজ মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে মালেক মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ দেখানো হয়েছে। অথচ এই রাস্তা নির্মাণকাজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাস্তায় কোনও মাটি ফেলা হয়নি। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ টাকা। শ্রমিক সংখ্যা ২৫ জন। পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বাস্তবায়িত ৩৬ নম্বর জাগছড়া চা-বাগানের রাস্তা নির্মাণকাজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কখন কাজ হয়েছে জানেন না ওই এলাকার বাসিন্দারা।
আশিদ্রোন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল আলী বলেন, ‘আমি এক লাখ ৮০ হাজার টাকার কাজ করেছি। পিআইও কাজ দেখে গেছেন। চার লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় কেন শেষ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান যেভাবে বলেছেন সেভাবে কাজ করেছি। এ বিষয়ে আশিদ্রোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন বলেন, ‘বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ হয়েছে। একেবারেই কাজ হয়নি বিষয়টি এমন নয়। চার লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ এক লাখ ৮০ হাজারে কীভাবে শেষ হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রকল্প সভাপতি কীভাবে এমন কথা বলেছেন, তাকে এ বিষয়ে আমি জিজ্ঞেস করবো।’
একইভাবে ১২ নম্বর প্রকল্প শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের রুপসপুর মোস্তফা মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে এবাদ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ১০ নম্বর প্রকল্প রুপসপুর সবুজবাগ জোড়া পুল থেকে শামসুল উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণ, ৩ নম্বর প্রকল্প মির্জাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পচাউন গ্রামের শফিক মিয়ার জমি থেকে হাইল হাওর রাস্তা পুনর্নির্মাণ, ৩৮ নম্বর প্রকল্প সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও ইছামতি চা-বাগান খেলার মাঠের পার্শ্ববর্তী রাস্তা পুনর্নির্মাণ, ৩৪ নম্বর প্রকল্প কালিঘাট ইউনিয়নের বুরবুড়িয়া চা-বাগানের শশ্মানঘাটে মাটি ভরাট ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ, ২২ নম্বর প্রকল্প কালাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বরুনা আবু বক্করের বাড়ি থেকে মকবুল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণ, ২৩ নম্বর প্রকল্প নারায়ণছড়া মনাই মিয়ার বাড়ি থেকে খাল পুনরায় খনন প্রকল্পের কাজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজঘাট ইউনিয়নের ফুসকুঁড়ি চা-বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট কাজে অনিয়ম হয়েছে। পাঁচ-ছয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। মাটি কাটার মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখের বাঁ দিকে কিছু মাটি ফেলা হলেও যে পরিমাণ মাটি দেওয়ার কথা তা দেওয়া হয়নি। স্থানীয় চা-শ্রমিক অমিত বুনার্জি বলেন, ‘মাটির কাজ মেশিন দিয়ে করা হয়েছে। পাঁচ শ্রমিক দুই-তিন দিন কাজ করেছেন। ঠিকমতো মাটি দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।’
কালীঘাট ইউনিয়নের ৩৩ নম্বর প্রকল্প কালীঘাট সাধুবাবুর বাড়ির সামনে থেকে শিববাড়ি কালিমন্দির রাস্তায় মাটি ভরাট প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বৃষ্টির সময় কয়েকদিন কাজ করিয়ে প্রকল্পের চার লাখ ৩৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। নাম গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, স্থানীয় মেম্বার রনজিতের ভাই কাজ করিয়েছেন। চার-পাঁচ জন শ্রমিক পাঁচ দিন কাজ করেছেন। কয়েকটি স্থানে মাটি ফেলে কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিক শিপন রাজভর বলেন, ‘আমরা তালিকাভুক্ত শ্রমিক নই। পাঁচ দিন কাজ করেছি আমরা। খাতায় হাজিরা দিয়ে ২৫০ টাকা করে নিয়েছি। আমাদের রকেট অ্যাকাউন্টের সিমকার্ড মেম্বারের কাছে।’
একই কথা বলেছেন আরেক নারী চা-শ্রমিক বর্ষা তাঁতি। তিনি বলেন, ‘আমার কোনও রকেট কিংবা বিকাশ অ্যাকাউন্ট নেই। তবে মোবাইলের সিমকার্ড জমা দিয়ে কাজ করেছি। কাজের টাকা হাতে টাকা দেওয়া হয়েছে। কালীঘাট ইউনিয়নের সদস্য রনজিত কালোয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে একজন ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘তিনি ফোন বাসায় রেখে বাইরে গেছেন। প্রকল্পের কাজের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা বলেন, ‘আপনার সঙ্গে দেখা করে বক্তব্য দেবো। কারণ মোবাইলে সব কথা বলা ঠিক হবে না।’
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওযার্ডের সদস্য মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি এক লাখ টাকার কাজ করেছি। চেয়ারম্যান যেভাবে বলেছেন সেভাবে কাজ করেছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রকল্প সভাপতি (মেম্বার) জানিয়েছেন, পিআইও ও চেয়ারম্যানরা যেভাবে বলেছেন, সেভাবে কাজ করেছেন তারা। পিআইও ও চেয়ারম্যানদের যোগসাজশে ভুয়া শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। একটি প্রকল্পেরও ৫০ শতাংশ কাজ করা হয়নি।’
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেবাশীষ দেব বলেন, ‘আমি একটা কাজে খুবই ব্যস্ত। শহরে এসে দেখা করে এ বিষয়ে পরে কথা বলবো। কল্পের অর্থ লুটপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘একসঙ্গে এতগুলো প্রকল্পের কাজ একজনের পক্ষে দেখা সম্ভব না। তারপরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছি। দেখলাম শ্রমিকরা কাজ করেছেন। আবার কোনও কোনও এলাকায় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কাজের ছবিও দিয়েছেন। ছবি দেখে বুঝলাম কাজ শেষ হয়েছে। এরপরও যদি তারা প্রকল্পের টাকা নিয়ে অনিয়ম করে থাকে তবে আমি এর সঙ্গে জড়িত নই।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো। এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাদু মিয়া বলেন, ‘প্রকল্পের তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের কাজ করার কথা। এর বাইরে কারও কাজ করার সুযোগ নেই। শ্রমিকদের রকেট অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা যায়। ফলে শ্রমিক ছাড়া অন্য কারও টাকা আত্মসাতের সুযোগ নেই।’
শ্রমিকদের সিমকার্ড রেখে টাকা তুলে নিচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা, ভুয়া শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে, বিষয়টি আপনার জানা আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় আমার সম্পৃক্ততা নেই। তবে সরেজমিনে আমি কাজ দেখতে পারি। টাকা-পয়সা লেনদেনের সঙ্গে আমার হাত নেই। সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং পিআইও বিল করে ঢাকায় পাঠান। সেখান থেকে শ্রমিকের রকেট অ্যাকাউন্টে টাকা যায়। যদি কোনও অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবো।’
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews