কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে শিশুসহ ১২
প্রথম নিউজ লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কুকুরের কামড়ে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন শিশু। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে যান। সেখানে জলাতঙ্কের টিকা না পেয়ে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন তারা। এদিকে একই দিনে ১২ জনকে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আহতদের মধ্যে রায়পুর শহরের নতুনবাজারের পানহাটা, উত্তর রায়পুর, চরবংশী, কেরোয়া, বামনী, হায়দরগন্জ ও পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন। তাদের পায়ে, উরুতে, হাতে, পেটে, মুখে, আঙুলে, গলায়সহ বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয় কুকুর।
কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত চরবংশী এলাকার ফাতেমা খাতুন জানান, তিনি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই সন্তানকে নিয়ে নতুন বাজারের পানহাটা দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় রাস্তায় থাকা একটি কুকুর তার ওপর আক্রমণ করে। কুকুরটি তার এক পায়ে এবং বড় মেয়ের কোমরের পেছনে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে। স্থানীয়রা কুকুরটিকে তাড়া করলে আরও কয়েকজনকে কামড়ায়। কুকুরটি তাড়া খেয়ে কাছেই পশ্চিম মহিলা কলেজের দিকে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা দল বেঁধে লাঠিসোঁটা দিয়ে দৌড়ানি দিলে কুকুরটি পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী খালেক মাল বলেন, ‘কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার পর রায়পুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাই। হাসপাতাল থেকে ইনজেকশন না পেয়ে একটি ইনজেকশন ৫২০ টাকা দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। অন্যটির জন্য সদর হাসপাতালে চলে আসছি। শুধু আমি না, সবাইকে ইনজেকশন বাইরে থেকে কিনতে হয় বা সদর হাসপাতালে আসতে হয়েছে।’
কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে শিশুসহ ১২
৮ দিনের নবজাতককে রেখে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল মায়ের
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম কুকুরের কামড়ে আহতদের চিকিৎসা প্রসঙ্গে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কমপক্ষে সাতজন রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসে। গত চার মাস কোনো টিকা সরবরাহ না থাকার রোগীরাই বাইরে থেকে টিকা কিনেছেন। সবাইকে টানা কয়েক দিনের চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেউ গুরুতর অসুস্থ বোধ করলে তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’