কুইক রেন্টালের দুর্নীতির ভাগ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে : নজরুল ইসলাম

আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

কুইক রেন্টালের দুর্নীতির ভাগ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে : নজরুল ইসলাম
বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান

প্রথম নিউজ, ঢাকা: গত আট বছরে যত বাজেট তার থেকে বেশি ব্যয় বিদ্যুৎ খাতে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন হলে, তাহলে বিদ্যুৎ ঘাটতি কেন। 

আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যা বিদ্যুৎ প্রয়োজন তার থেকে ডাবল আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা এত বেশি তাহলে কেন এত বেশি টাকা দিয়ে কুইক রেন্টালের চুক্তি বারবার বাড়ানো হচ্ছে। 

নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা সরকারে রয়েছেন তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। রাতের বেলা ভোট করে তারা ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। সে কারণে জনগণের কাছে তাদের কোন জবাবদিহিতা নেই, যদি থাকতো তাহলে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য তারা কাজ করত। কিন্তু সেটা তারা না করে নিজেদের এবং নিজেদের যারা আপন তাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য কাজ করেছে।

আজকে বাংলাদেশের মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। এর চেয়ে বেশি দুর্দশার আশঙ্কা করছেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আমাদের দেশে কুইক রেন্টাল নামক এক আজব বিষয় আছে। কুইক রেন্টালের নামে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে কিছু ব্যক্তিকে দেয়া হচ্ছে। শুধু শুধুই কি দেয়া হচ্ছে নাকি সেই টাকার ভাগ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। না গেলে অপ্রয়োজনীয় এই খাতে কেন টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বলা হয়েছিল আমাদের বিদ্যুৎ ব্যয়ের চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। সেজন্য বিদেশে রপ্তানি করার চিন্তা করছে বাংলাদেশ। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা এত বেশি তাহলে কেন এত বেশি টাকা দিয়ে কুইক রেন্টালের চুক্তি বারবার বাড়াচ্ছে। এমনকি আইন করা হয়েছে সংসদে এ সমস্ত দুর্নীতি অনাচারের বিরুদ্ধে কখনো আদালতে মামলা করতে পারবেন না। জনগণের টাকা লুট করা হবে তার জন্য জনগণ আদালতে যেতে পারবে না, এরকম অনাচার কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমরা কখনো শুনি নাই সুইস ব্যাংকে টাকার কথা, সেকেন্ড হোমের কথা, বেগম পাড়া কথা। আমরা কখনো শুনিনি গত কয়েক বছর ধরে আমরা শুনছি। জনগণ দাবি করছে বেগম পাড়ায় কাদের বাড়ি? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন রাজনীতিবিদদের থেকে ব্যবসায়ীদের বাড়ির বেশি। কারা সে সকল রাজনীতিবিদ, কারা সেই সকল ব্যবসায়ী এ সকল জানার অধিকার বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে। এসব আপনারা বলবেন না এটা আমরা জানি কারণ এসব আপনাদের লোক। তাদের নিকট থেকে আপনারা বেনিফিট নেন বলেই তাদের কথা প্রকাশ করতে চান না। 

ঢাকা জেলা সভাপতি ডাক্তার সালাউদ্দিন বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, কেরানীগঞ্জ থানা সভাপতি নিপুন রায় চৌধুরীসহ জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom