আজ বিশ্ব দৃষ্টি দিবস

আজ বিশ্ব দৃষ্টি দিবস

প্রথম নিউজ, ঢাকা : বিশ্ব দৃষ্টি দিবস আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর)। ‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন, কর্মস্থলেও’— এ প্রতিপাদ্যে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে দিবসটি। 


দিবসটি উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে একটি সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের হবে। দুপুর ১২টায় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এবারের প্রতিপাদ্য এবং ‘ইনসাইট ২০৩০’ বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। 

প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন করা হয়। এ দিবসের মূল লক্ষ্য হলো অন্ধত্ব, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং চোখের যত্নের বিষয়ে বিশ্ব জনগোষ্ঠীকে সচেতন করে তোলা। 


অন্ধত্ব প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইএপিবি এবারের বিশ্ব দৃষ্টি দিবসকে সামনে রেখে বছরব্যাপী এক প্রচারণা শুরু করেছে।  

দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল আই কেয়ারের পাশাপাশি চক্ষু সেবায় নিয়োজিত সংস্থা আন্ধেরি হিলফি, ব্র্যাক, সিবিএম গ্লোবাল, ফ্রেড হোলোস ফাউন্ডেশন, হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশন, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, সাইট সেভারস, ভিশন স্প্রিং এবং এসিলর লাকসোটিকা জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও বিশেষ চক্ষু সেবার আয়োজন করেছে।

মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ। কিন্তু এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ উদাসীন। মানুষ কেন অন্ধত্ব বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে এবং চোখের যত্নের বিষয়ে নিজের কর্মস্থলে করণীয় সম্পর্কে জানা থাকলে বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার অনেক কমতে পারে। 

এ বছরের প্রতিপাদ্যের মূল বার্তাটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে তাদের কর্মস্থলে চোখের প্রতি যত্নশীল হওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে আশা করছে আয়োজকরা।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্য মতে, প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোগী চোখের বিভিন্ন সমস্যায় শুধুমাত্র এ প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নেয়। তাদের তথ্য বলছে, দেশের এক কোটি ৪৩ লাখ লোক দৃষ্টি ত্রুটিতে ভুগছে এবং দিন দিন চোখের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটবেলা থেকে স্মার্টফোন ও ট্যাবে ভিডিও গেমসের আসক্তি শিশুদের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ নানা ধরনের মানসিক সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে পৃথিবীতে প্রায় ২২০ কোটি মানুষ অন্ধত্ব বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে, যার মধ্যে এক বিলিয়ন মানুষের অন্ধত্ব বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা সম্ভব। 

জনগণের চক্ষুরোগ কমানোর জন্য ন্যাশনাল আই কেয়ার এ পর্যন্ত উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ২০০টি কমিউনিটি আই কেয়ার সেন্টার স্থাপন করে চক্ষুসেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া চক্ষুসেবার কাজে নিয়োজিত দশটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষুসেবা পৌঁছে দিচ্ছে।