সাউথ আফ্রিকা থেকে আসলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন, ২৪০ জনের খোঁজ নেই!
সাউথ আফ্রিকা থেকে কেউ দেশে আসলে তাকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা : সাউথ আফ্রিকা থেকে কেউ দেশে আসলে তাকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবেলায় করণীয় ঠিক করতে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সাউথ আফ্রিকা থেকে আগত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ রাখা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া নো মাস্ক নো সার্ভিসের মতো নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিস বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভাশেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মন্ত্রী বলেন, সাউথ আফ্রিকা থেকে লোকজন আসার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে৷ যারা আসবে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সশস্ত্র বাহিনী বিষয়টি ম্যানেজ করবে। অন্য দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি না পাওয়া পর্যন্ত ওইসব দেশ থেকে করোনা নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে৷ সংক্রমণ বাড়লে কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা টেস্ট ৭২ ঘন্টা থেকে কমিয়ে ৪৮ ঘন্টা করার চিন্তা করা হচ্ছে। বর্ডারে কঠোর নজরদারি করা হবে৷ পাশ্ববর্তী দেশে যাতায়াত কমিয়ে আনা যায় কিনা সে চিন্তা চলছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা মোকাবেলায় জেলা কমিটিকে চিঠি দেয়া হবে। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে দিবে যেন সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়। নতুন করে যেন অনুষ্ঠান হাতে নেয়া না হয় সে ব্যাপারে নজর দেয়া হবে।মসজিদে যেন আলোচনা হয়, ভুল মেসেজ যেন না যায়।
মন্ত্রী বলেন, সাউথ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে ২৪০ জন এসেছে। তারা অনেকে মোবাইল বন্ধ রেখেছে, ঠিকানা ভুল দিয়েছে৷ ফলে তাদের ট্রেস করা কঠিন হচ্ছে। স্কুলের দিন যেন না বাড়ানো হয় সে ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলবে। বাসে মাস্ক পরার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। দাপ্তরিক সভা ভার্চুয়াল করার জন্য সব মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নির্দেশনা দেয়া হবে।
ইউরোপের সঙ্গে ফ্লাইট সীমিত হবে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপে ছড়িয়েছে অল্প। ঢালাওভাবে ফ্লাইট বন্ধ করতে পারব না৷ যে ১৫/২০ দেশে ছড়িয়েছে তাদের ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ দেয়া হয়ে গেছে। স্কুল ছাত্র, বস্তিসহ সকল পর্যায়ে টিকা দেয়া হচ্ছে। গতবার কোয়ারেন্টিনের সময় অনেকে হোটেলে থাকেনি এই বিষয়ে শক্ত হওয়ার জন্য বলেছি। অনেকে টিকা নেয়নি। আগ্রহ কমে গেছে৷ নো মাস্ক নো সার্ভিসের মতো, নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ষাটোর্ধ অত্যন্ত অসুস্থ তাদের বুসটার ডোজ দেয়ার চিন্তা চলছে। বিমানবন্দরে পিসিআর, র্যাপিড টেস্ট জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেল্টা ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়েছে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাই না ফের হোক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে সবকিছু নাই। সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আবার যেন লকডাউন না হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে করোনা পরীক্ষার ফি মওকুফের সুযোগ নাই। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে ফি মওকুফ করা হবে। ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন চলবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে। সভা সমাবেশ সীমিত করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: