কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, হাতের কাটা অংশ খুঁজছে পুলিশ
প্রথম নিউজ, ফরিদপুর : ফরিদপুর সদরে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের এক ছাত্রে হাত কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরতলীর অম্বিকাপুর ইউনিয়নে একটি মেহগনি বাগান থেকে ওই তরুণের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই তরুণের নাম মো. আসাদুজ্জামান নূর ওরফে তপন (২৩)। তিনি ফরিদপুর শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার প্রামাণিক পাড়া মহল্লার বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ও ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আসাদুজ্জামান বিবাহিত তবে তিনি নিঃসন্তান ছিলেন।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানায়, উত্তর আলীপুর এলাকার কুমার নদের উপর একটি সেতুর ওপাড়ে অম্বিকাপুর এলাকার জামাল মোল্লার মেহগনি বাগানের পশ্চিম পাশে আসাদুজ্জামানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
দুর্বৃত্তরা আসাদুজ্জামানকে হত্যা করে তার বাম হাতের কনুই থেকে কেটে নিয়ে যায়। এছাড়া তার ডান হাত ও দুই হাটুতে কোপের দাগ রয়েছে।
নিহত আসাদুজ্জামানের ভাই মো. আবুল হাওলাদার বলেন, ওই এলাকায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছেন। তাদের সঙ্গে ঝামেলার জের ধরেই ওই মাদক ব্যবসায়ীরা আমার ভাইকে ধারল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার বাম হাত কেটে নিয়ে যায়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি পরিদর্শন করেছে সিআইডির ক্রইম সিন দল ও পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, মৃতের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা বাম হাতটি তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ হাতটি হত্যাকারী দূরে কোথাও ফেলে দিতে পারে। মরদেহের আশপাশে হাতটি পাওয়া যায়নি। আসাদুজ্জামান মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে এ পথ থেকে ফেরানোর জন্য পরিবারের সদস্যরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা পর্যন্ত করিয়েছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাহউদ্দীন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের পাশে ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দীন আরও বলেন, এ হত্যার পিছনে কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডটি কেন ঘটল তার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।