হাসপাতালের সামনেই নিজ মালিকানায় ক্লিনিক চালান ব্রাদার

হাসপাতালে আসা রোগীদের সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে সেখানে যেতে বাধ্য করা, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার কিংবা সরকারি ওষুধ বাইরে ফার্মেসিতে বিক্রি করার মতো অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতালের সামনেই নিজ মালিকানায় ক্লিনিক চালান ব্রাদার

প্রথম নিউজ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্রাদার আবদুল মজিদ হাসপাতালের সামনেই নিজ মালিকানায় ক্লিনিক চালান। তার বিরুদ্ধে হাসপাতালে আসা রোগীদের সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে সেখানে যেতে বাধ্য করা, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার কিংবা সরকারি ওষুধ বাইরে ফার্মেসিতে বিক্রি করার মতো অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার (৩ আগস্ট) দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বুলু মিয়ার নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে এমন ঘটনার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। অভিযানে প্রাপ্ত সেবার মান সম্পর্কে সেবা গ্রহীতাদের দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করে টিম। দুদকের জনসংযোগ (সহকারী পরিচালক) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুদক টিম সরেজমিনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে। অভিযানে প্রাপ্ত সেবার মান সম্পর্কে সেবা গ্রহীতাদের দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করে টিম। অভিযোগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।

দুদকের আরেক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, ডা. কবির আহমেদ ও ব্রাদার আবদুল মজিদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে আসা রোগীদের সঠিক চিকিৎসা প্রদান না করে সিন্ডিকেট তৈরি করে তাদের ব্যক্তিগত ক্লিনিকে পাঠানো ও সরকারি ওষুধ বাইরে ফার্মেসিতে বিক্রি করার অভিযোগ ছিল। ব্রাদার আবদুল মজিদ কর্তৃক অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভিযানে ব্রাদার মজিদকে পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালের সামনে সততা ক্লিনিকের অস্তিত্ব ও সেখানে মজিদের মালিকানার বিষয়ে প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া ব্রাদার আবদুল মজিদের চার তলা বাড়ি নির্মাণ ও গাড়ি কেনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে দুদক টিম।

দুদক সূত্র জানায়, এর আগে গত ১ জুন ফিরোজা খাতুন নামের রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলার অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাসপাতালের অপর পাশে অবস্থিত সততা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসাবাদ করে টিম। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ল্যাব টেকনিশিয়ান জান্নাতুল মাওয়াকে রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার কারণে সতর্ক করা হয়। ইনডোর বিভাগে পথ্যসেবার নিম্নমান পেয়েছে দুদক টিম। এসময় ডাক্তারদের নিয়মিত ডিউটি পালন ও রোগীদের সঙ্গে ভালো আচরণের নিদর্শনা প্রদান করা হয়।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom