হাত-পা বেঁধে মারধরের পর গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করলেন স্বামী-ননদ
চররমনী গ্রাম থেকে অভিযুক্ত ননদ পাখি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী মো. হাসান পলাতক রয়েছেন।
প্রথম নিউজ,লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় যৌতুক না পেয়ে হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে (২০) বেদম মারধরের পর মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও ননদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মধ্য চররমনী গ্রাম থেকে অভিযুক্ত ননদ পাখি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী মো. হাসান পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তিন বছর আগে লক্ষ্মীপুরের মধ্য চররমনি গ্রামে মো. কাঞ্চনের ছেলে হাসানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। হাসান পেশায় জেলে। বিয়ের পর থেকে কারণে-অকারণে স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। এছাড়া একবার যৌতুকের টাকা দেওয়া হলেও আবারও দাবি করে আসছিলেন। না পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় হাসান ও তার বোন পাখি হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
রাতভর মারধর শেষে একপর্যায়ে গৃহবধুর মাথার সামনের অংশের চুল কেটে ন্যাড়া করেন তারা। পরে হাত-পা বাঁধা অবস্থাতেই তাকে রেখে স্বামী পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিব গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ‘হাসান আমার পরিবারের কাছ থেকে এর আগে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়েছে। এখন আবার ৩ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য মা-বাবার কাছে বলার জন্য আমাকে চাপ দেয়। টাকা চাইতে পারবো না জানালে আমার হাত-পা বেঁধে মারধর করে সামনের চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিব বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করি। স্বামী পালিয়ে গেছে। গৃহবধূর পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, গৃহবধূকে মারধর ও মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় অভিযুক্ত পাখিকে আটক করা হয়েছে। স্বামী পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আহত গৃহবধূকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: