হাইকোর্টে জামিন পাননি মির্জা ফখরুল

 হাইকোর্টে জামিন পাননি মির্জা ফখরুল

প্রথম নিউজ, ঢাকা: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে জামিন পাচ্ছেন না মির্জা ফখরুল।

রায়ের পর মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে কি না, তা মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রুলের ওপর উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আজ মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সগীর হোসেন লিওন। আদালতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, মো. আসাদুজ্জামান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, মো. আক্তারুজ্জামান, মনিরুজ্জামান আসাদ, মো. মাকমুদ উল্লাহ প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আব্দুর রাফেল। আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলামের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। তার আগে গত ৩ ডিসেম্বর এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরও আগে ২২ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।

গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তাকে গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ওইদিন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর চালায়। বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দফায় দফায় অবরোধ ও হরতাল পালন করে আসছে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা।