সন্ত্রাস বিরোধী মহড়ায় অংশ নিতে ৩ সদস্যের টিম পাঠাতে পারে ভারত
আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) অংশ নিতে ৩ সদস্যের টিম পাঠাতে পারে ভারত
প্রথম নিউজ, ডেস্ক: আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) অংশ নিতে ৩ সদস্যের টিম পাঠাতে পারে ভারত। এসসিও রিজিয়নাল এন্টি-টেররিস্ট স্ট্রাকচারের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ৩রা অক্টোবর থেকে পাকিস্তানের নওশেরা জেলার পাব্বি’তে হতে যাচ্ছে পাব্বি এন্টি-টেরর এক্সারসাইজ ২০২১। এর উদ্দেশ্য এসসিও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী সহযোগিতা উন্নীত করা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। ভারত সরকার বিশ্বাস করে এসসিও’র এই ইভেন্টে অংশ নেয়ার অর্থ এই নয় যে, পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে- এ অবস্থান থেকে ভারত সরে এসেছে। তা সত্ত্বেও ওই মহড়ায় অংশ নেবে ভারত। এর উদ্দেশ্য আফগানিস্তান সহ মধ্য এশিয়ায় নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকতে চায় ভারত। এতে যোগ দিচ্ছে ইরান। আছে রাশিয়া, ভারত, চীন, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার চারটি পূর্ণাঙ্গ সদস্যদেশ। তারা সবাই এসসিও’তে এমন প্রচেষ্টা চালাতে ভূমিকা রাখতে চায়, যাতে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়। এ মহড়ায় যেসব দেশ যোগ দিতে চেয়েছে দৃশ্যত তার মধ্যে সর্বশেষ হলো ভারত। এই মহড়ার ঘোষণা দেয়া হয় এ বছর মার্চে তাসখন্দে রিজিয়নাল এন্টি-টেররিস্ট স্ট্রাকচারের কাউন্সিলের এক বৈঠকের পর। এসসিও’র প্রোটোকল অনুযায়ী ভারতসহ সব সদস্য দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তান। এতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিবালয়ের কর্মকর্তারা যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ মাসের শুরুর দিকে এসসিও দুশানবে ডিক্লারেশন দেয়া হয়। এতে বলা হয়, আসন্ন পাব্বি এন্টি টেরর ২০২১ মহড়া সহ সন্ত্রাস বিরোধী মহড়ায় যৌথভাবে অংশ নেবে সদস্য দেশগুলো। ওদিকে দুশানবেতে আফগানিস্তান ইস্যুতে এসসিওর সামিটে বক্তব্য রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে তালেবানরা যে সরকার গঠন করেছে তা সবার অংশগ্রহণমূলক নয়। একই সঙ্গে তিনি এই সরকারকে তড়িঘড়ি করে স্বীকৃতি না দিতে আহ্বান জানান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। ওই ডিক্লারেশনে আফগানিস্তানকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক যখন খারাপ থেকে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হয়, ঠিক তখনই এই এসসিও মহড়া হতে যাচ্ছে। ভারতীয় সেনাদের অভিযোগ গত মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছেন পাকিস্তানি কমান্ডাররা। এ সপ্তাহে নিয়ন্ত্রণরেখার উরি সেক্টরে বন্দুকযুদ্ধের পর এক পাকিস্তানিকে আটক করেছে ভারতের সেনারা।