সংশোধনী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করার দাবি যুবকদের

 শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় উন্নয়নমূলক সংস্থা ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র (ডর্‌প) এর কার্যালয়ে "তামাক বিরোধী ক্যাম্পেইনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি" বিষয়ক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এমন দাবি জানিয়েছেন যুবকরা। 

সংশোধনী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করার দাবি যুবকদের

প্রথম নিউজ, অনলাইন: অর্ডিন্যান্স এর মাধ্যমে সংশোধনী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করার দাবি জানিয়েছে যুবকরা।  শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় উন্নয়নমূলক সংস্থা ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র (ডর্‌প) এর কার্যালয়ে "তামাক বিরোধী ক্যাম্পেইনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি" বিষয়ক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এমন দাবি জানিয়েছেন যুবকরা। 

কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন সিটিএফকে বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার জনাব আব্দুস সালাম মিয়া। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যুবদের দাবি অর্ডিন্যান্স এর মাধ্যমে সংশোধনী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করা। বর্তমানে আমাদের দেশের তামাক পন্যে ৪ ধরনের কর কাঠামো আছে। তামাক পন্য ভোক্তাদের প্রায় ৭৫ শতাংশ লোক নিন্মস্তরের সিগারেট সেবন করেন। নিন্ম আয়ের মানুষরা নিন্মস্তরের সিগারেটের প্রধান গ্রাহক। তারা আয়ের ৪ ভাগের ১ ভাগ সিগারেট সেবনের পেছনে ব্যয় করেন। 
আব্দুস সালাম বলেন, নিন্মস্তরের সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দিলে এই ৭৫ শতাংশ ভোক্তার কাছে সিগারেট ক্রয়ক্ষমতা বাহিরে চলে যাবে। ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে যদি সিগারেট চলে যায় তবে সিগারেট গ্রহনের হার কমবে। তামাক পন্য নিয়ন্ত্রণে সংস্থাটি এই কর্মশালায় তাদের ছয়টি প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করেন। তাদের প্রস্তাবনাগুলো হলো: তামাকপণ্যের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা; তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট, ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা; তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা; এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সংস্থাটি তামাক কর কাঠামো, তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধির সুবিধা, তামাক নিয়ন্ত্রণের উপায় সহ তামাক সেবনের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের মাঝে। ৭ দিনব্যাপী এই কর্মশালার ৫ম দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ২৫ জন শিক্ষার্থী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে। 
উল্লেখ্য, ডর্‌প বিগত ১৯৮৭ সাল থেকে দেশব্যাপী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সাথে জড়িত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রবর্তনকারী সংস্থা হিসেবে সমধিক পরিচিত। এখন পর্যন্ত ডর্‌প সারাদেশে ৫টি বিভাগে ৩০টি জেলায় ৭৪টি উপজেলায় বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডর্‌প বর্তমানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে কাজ করছে এবং সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।