Ad0111

সিলেটের তরুণী বিয়ে করতে চান গাইবান্ধার তরুণীকে!

সিলেটের তরুণী আয়েশা। গাইবান্ধার তরুণী কবিতা। দুজনই শারীরিকভাবে পরিপূর্ণ নারী। খেলেন জেলার নারী ফুটবল দলে।

সিলেটের তরুণী বিয়ে করতে চান গাইবান্ধার তরুণীকে!
সিলেটের তরুণী বিয়ে করতে চান গাইবান্ধার তরুণীকে

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : সিলেটের তরুণী আয়েশা, গাইবান্ধার তরুণী কবিতা। দুজনই শারীরিকভাবে পরিপূর্ণ নারী। খেলেন জেলার নারী ফুটবল দলে। একজন সিলেট জেলা নারী ফুটবল দলের আরেকজন গাইবান্ধার নারী ফুটবল দলের সদস্য। খেলতে গিয়েই তাদের দুজনের পরিচয়। একপর্যায়ে সেটা গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। প্রেমের টানে আয়েশা সিলেট থেকে চলে যান গাইবান্ধায়।  কবিতার সঙ্গে রাত্রি যাপন করেন। সেই থেকে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়ে যায়। বেড়ে যায় একে অপরের প্রতি ভালোলাগা। একপর্যায়ে দুই তরুণী একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাদ সাধেন তাদের পরিবার। বিষয়টি গড়ায় জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশ পর্যন্ত। পরিবারের অসম্মতি পেয়ে দুজনই আত্মহননের চেষ্টা চালান। এই খবর পেয়ে সিলেট থেকে গাইবান্ধায় চলে যান আয়েশার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু নাছোড়বান্ধা আয়েশা। কোনভাবেই কবিতার বাড়ি ছাড়তে রাজি নন তিনি। আয়েশাকে জোর করে গাড়িতে তুলতে ব্যর্থ হন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে আয়েশাকে বাসে তুলতে সক্ষম হন তারা। দুই নারী ফুটবলারের সমকামিতার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, মাস দুয়েক আগের ঘটনা। খেলার সুবাদে ঢাকায় আয়েশার সঙ্গে পরিচয় হয় কবিতার। পরিচয় থেকেই দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এরপর আয়েশা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খেলতে যান। ওঠেন কবিতার বাড়িতে। কবিতার সঙ্গে একই রুমে রাত্রি যাপন করেন। এরপর একে অপরের প্রতি ভালো লাগা বেড়ে যায়। মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথা বলেন। একজন না খেয়ে থাকলে আরেকজন না খেয়ে থাকেন। হররোজই চলে তাদের ভাবের আদান-প্রদান। কয়েকদিন আগে কবিতা আয়েশার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা বন্ধ করে দেন। এতে অস্থির হয়ে উঠেন আয়েশা। পরিবারের অগোচরে সিলেট থেকে চলে যান গাইবান্ধায়। ওঠেন আয়েশার বাড়িতে। কবিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান কবিতার পরিবার। বিষয়টি স্থানীয় কোচ, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। তারাও দুই তরুণীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে আত্মহননের চেষ্টা চালান দুই তরুণী। আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে দুই হাত কেটে ফেলেন। কবিতাও গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে সিলেট থেকে আয়েশার মাসহ পরিবারের সদস্যরা গাইবান্ধায় চলে যান। তাকে বুঝিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তাকে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করা হয়। তাতে কাজ হয়নি। একপর্যায়ের জোর করে আয়েশাকে বাসে উঠান পরিবারের সদস্যরা। এসময় আয়েশা চিৎকার বলেন, আমি কবিতার কাছে যাবো। আমি কবিতাকে ছাড়া বাঁচবো না। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গাইবান্ধা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি- তারা নাকি দুজন দুজনকে ভালোবাসে। তাদের সম্পর্ক প্রায় দুই মাস ধরে। আমি হাসপাতালে গিয়ে আয়েশার পরিবারকে বলেছি, তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে। 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news