স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালাল স্বামী

লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শারমিন আক্তার শরমি নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে

স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালাল স্বামী

প্রথম নিউজ, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শারমিন আক্তার শরমি নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার প্রবাসী স্বামী মো. সুমনের বিরুদ্ধে এমন অভযোগ উঠলে সোমবার (৮ মে) দুপুর পৌনে ১টার দিকে সদর হাসপাতালে মরদেহ ফেলে অভিযুক্ত সুমন পালিয়ে যান। নিহত শারমিন ৪ মাসের গর্ভবতী ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিহত শারমিন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার এলাকার চরমনসা গ্রামের মো. তোফায়েলের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি একই ইউনিয়নের ছটকির সাঁকো বাজার সংলগ্ন আমরি এলাকায়।

নিহতের পরিবার সূত্র জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে ওমান প্রবাসী সুমনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে শারমিনের বিয়ে হয়। সুমন-শারমিন দম্পতির এক মেয়েও রয়েছে। শারমিনের শ্বশুরের মৃত্যুর পর শাশুড়ি খুকু মনি দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামী নিয়ে একই বাড়িতে থাকেন। এতে সুমনের অনুপস্থিতিতে শাশুড়ির সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। তিন মাস আগে সুমন ছুটিতে বাড়িতে আসে। পরবর্তীতে সুমনও শারমিনের সঙ্গে কারণে অকারণে কলহ শুরু করে।

নিহত শারমিনের পরিবারের অভিযোগ, সুমন ও তার মা খুকু মনি প্রায়ই বিভিন্ন অভিযোগে শারমিনকে নির্যাতন করতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো। পারিবারিক কলহের জের ধরেই সুমন ও তার মা খুকু শ্বাসরোধে শারমিনকে হত্যা করে। শারমিন সন্তান সম্ভবা ছিলেন।

শারমিনের ভাই মো. হেলাল বলেন, দুপুরে সুমন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে শারমিনকে নিয়ে হাসপাতালে আসে। তখন তিনি জানান আমার বোন অসুস্থ। আমি হাসপাতালে আসার আগেই শারমিনকে ফেলে রেখে সুমন পালিয়ে যায়। আমি এসে শারমিনকে মৃত দেখতে পাই। পরে শারমিনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। তার স্বামী ও শ্বাশুড়ি তাকে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আম পাড়াকে কেন্দ্র করে গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।