স্টুডেন্ট ভিসায় ইংল্যান্ড যাওয়া হলো না মিজানের

অ্যাম্বাসি থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের আগেই নিখোঁজ হন এডভোকেট মিজান।

স্টুডেন্ট ভিসায় ইংল্যান্ড যাওয়া হলো না মিজানের

প্রথম নিউজ, মৌলভীবাজার: কথা ছিল স্টুডেন্ট ভিসায় ইংল্যান্ড যাবেন। সবকিছুর প্রস্তুতিও ছিল শেষ পর্যায়ে। ইংল্যান্ড অ্যাম্বাসি থেকে ই-মেইলও করেছিল। অ্যাম্বেসি থেকে পাসপোর্ট গ্রহণের কথা ছিল গত মঙ্গলবার। কিন্তু এর আগের দিন সোমবার সকালে মৌলভীবাজারে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই নিখোঁজ এডভোকেট মিজানুর রহমান। এ ব্যাপারে রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করলেও তার কোনো সন্ধান পাচ্ছে না। জিডি ও নিখোঁজের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুরিখাল গ্রামের প্রবাসী আবুল হাসানের ছেলে মো. মিজানুর রহমান সিলেট বারের এডভোকেট। ২০২০ সালে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ল’ বিভাবে পড়াশুনা করেন।

এরপর থেকে সনদ নিয়ে সিলেট বারেই প্রাক্টিস করছিলেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ড যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সংগ্রহ করেন। ভিসার জন্য ইংল্যান্ড অ্যাম্বাসিতে পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলনে। পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য অ্যাম্বাসি থেকে তাকে ই-মেইল পাঠায়। পাসপোর্ট গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার যাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু এর আগেই ১০ই জুলাই সোমবার সকাল থেকেই তিনি নিখোঁজ। পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খুঁজেও কোনো সন্ধান না পেয়ে রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।  এদিকে এডভোকেট মো. মিজানুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার পর ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা গেছে সোমবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত তিনি উত্তরভাগ ইউনিয়নের বাঁধ বাজারে ছিলেন। এরপর তার মোবাইল বন্ধ রয়েছে। এখনো মোবাইল খোলা হচ্ছে না। যার কারণে নিখোঁজ মিজানের লোকেশন ট্র্যাক করা যাচ্ছে না।

 পুলিশ জানিয়েছে, মিজান এসএসসি শেষ করেই সিলেট চলে যান। সেখানেই তার লেখাপড়া। এলাকায় তার তেমন কোনো যোগাযোগ বা কারও সঙ্গে তেমন কোনো শত্রুতা নেই। এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করে যাচ্ছে পুলিশ। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা রাজনগর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই তোফায়েল বলেন, জিডি হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে বার্তা পাঠানো হয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে তদন্ত  চালিয়ে যাচ্ছি। এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাজনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। নিখোঁজ মিজানুর রহমানের পাসপোর্টের কপিও সংগ্রহ করা হয়েছে। তার এমন কারও সঙ্গে ঝামেলা নেই যে গুম বা জিম্মি করতে পারে। পরিবারও কাউকে সন্দেহ করছে না। এরপরও আমরা বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।