সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দেখেই জাতীয় নির্বাচনের কৌশল ঠিক করবে জাপা

সোমবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে কো-চেয়ারম্যানদের বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দেখেই জাতীয় নির্বাচনের কৌশল ঠিক করবে জাপা

প্রথম নিউজ, ঢাকা: আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে সাবেক স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে কো-চেয়ারম্যানদের বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। বৈঠক শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে চুন্নু বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দেখেই জাতীয় নির্বাচনের কৌশল ঠিক করবে দল।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলো নিরপেক্ষ করতে না পারে, মানুষের ভোটাধিকার যদি নিশ্চিত না হয়, তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমরা যাব কী যাব না, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনই ইঙ্গিত করবে জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে ক্ষমতার পালাবদলের নির্বাচন। দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা আগামী জাতীয় নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়।

চুন্নু বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি আসেনি, জাতীয় পার্টি নির্বাচনের মাঠে ছিল। এমন বাস্তবতায়ও জাপা প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর অবর্ণনীয় আচরণ ও জোরজবরদস্তি করেছে সরকার সমর্থকরা। জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে করুণ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছিল আবার ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপির অবস্থা আরও নাজুক। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে না পারলে বিএনপি যেন মুসলিম লীগে পরিণত হবে। কিন্তু জাতীয় পার্টি ৩৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকেও রাজনীতির মাঠে টিকে আছে।

এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা পরিহারের সময় এসেছে আবার সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সরকারকেও আন্তরিক হতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে রাজনীতিতে ভুল করার অবকাশ নেই।

এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এম নিয়াজ উদ্দিন, খলিলুর রহমান খলিল, যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম দপ্তর সমরেশ মণ্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম, সোহেল রহমান ও জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।