Ad0111

স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে অভিভাবকসহ মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা

আজ সোমবার  দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানা স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এ মানববন্ধন করে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে অভিভাবকসহ মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা

প্রথম নিউজ,সাভার: সাভারে স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। এ সময় একজন অভিভাবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ সোমবার  দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানা স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এ মানববন্ধন করে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

অভিভাবকরা বলেন, আমরা ওই স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া করিয়েছি। তারা ৫ম শ্রেণি শেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেও এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু এবার আমাদের প্রায় ৭২ জন সন্তান সেখানে ভর্তি হতে পারছে না। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আজ ভর্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও ভর্তি নেয়নি। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া যমজ সন্তানের মা এ্যানি বলেন, আমার দুই সন্তান তাসমিয়া ও ফাহমিদা ওই স্কুলের প্রাইমারি শাখায় প্রায় ৬ বছর অতিবাহিত করেছে। কিন্তু আজ ওই স্কুল থেকে আমাদের সন্তানদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বের করে দিয়ে স্কুলের গেট বন্ধ করে দিয়েছে।

শিক্ষার্থী আব্দুর রহমানের মা মোমেনা খাতুন বলেন, আমাদের সন্তানকে এই স্কুলেই রাখার আশ্বাস দিয়ে ভর্তি করানো হয়েছিল। আমি সকাল ৯টা থেকে স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি কোথাও সমাধান মিলছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই স্কুলে ভর্তির আশ্বাস দিলে আমি অন্য কোনো স্কুলে ভর্তির ফরমও তুলিনি। এখন তো কোনো স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। আর সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়লাম।

শিক্ষার্থী সেলিম বলে, রোকেয়া ম্যাডাম আমাদের বলেছিলেন, লটারি হলেও আমরা এখানেই ভর্তি হতে পারব। এখন ভর্তি হতে পারছি না। অন্য স্কুলে ভর্তি হতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগবে। এটাকাও আমার পরিবার বহন করতে পারবে না। ভর্তি না করালে আশ্বাস দেওয়া হলো কেন? এখানে ভর্তি না করানো হলে আমি আর ভর্তিই হব না।

এ ব্যাপারে অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক মিসেস রোকেয়া হকের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে চন্দন নামে এক ব্যক্তি ছেলে পরিচয় দিয়ে বলেন, মা অসুস্থ। তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না। হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গোমেজ জানান, এটা আসলে সরকারি প্রক্রিয়া। লটারিতে যারা চান্স পেয়েছে তারা ভর্তি হয়েছে। যারা চান্স পায়নি তারা বিভিন্নভাবে ভর্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। তবে অভিভাবকদের দাবি- লটারি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে তাদের সন্তানরাই চান্স পেত।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news