ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গ্রেফতারকৃত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবী 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গ্রেফতারকৃত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবী 

প্রথম নিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দীর্ঘ তিন বছর পর ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজত ইসলামের নেতৃত্বে আন্দোলনের উত্তাপ ছড়ায়। যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরই সূত্র ধরে জেলা ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করা হয়। কিন্তু তাদের তেমন কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের পদায়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় হওয়ায় কারারুদ্ধ নেতৃবৃন্দ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

এছাড়াও দীর্ঘদিন ঘর ছাড়া বাড়ি ছাড়া অনেক ছাত্রদল নেতারই রাজনৈতিক পরিচয়ে গর্ববোধ করতে দেখা গিয়েছে। তাদের অনেকেই বলেছে, বর্তমান মাফিয়া সরকারের পতন আন্দোলনে গ্রেফতারকে ভয় করিনা। কেননা এখন আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে। ছাত্রদলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মুল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবাহিতদের অন্তর্ভুক্ত করে দেশের বিভিন্ন জেলায় স্বল্প সময়ের জন্য জেলা ছাত্রদলের পুর্নাঙ্গ কমিটি করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদল প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নবনির্মিত কমিটির সহ সভাপতি যথাক্রমে সাইদ হাসান সানি, রাশেদ সওদাগর, কামরুল হাসান, সেজান মাহমুদ তুষার ও কসবা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন সহ অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শিক্ষা ঐক্য প্রগতির প্লাটফর্মে মেধাবীরা দেশ বাঁচানোর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। বিধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত ইসলামের আন্দোলন পরবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের কোন্দলের কারণে সহিংসতায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কোনপ্রকার সম্পৃক্ততা নেই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছে। 
উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের ১লা আগস্ট সভাপতি হিসেবে শেখ মোঃ হাফিজ উল্লাহ হাফিজ, সিনিয়র সহ সভাপতি আজহার হোসেন চৌধুরী দিদার, সহ সভাপতি অথৈ মোল্লা, সহ সভাপতি সালাহ উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েল, যুগ্ম সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী ও শাহীনুর রহমান শাহীনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে তৎকালীন ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকরামুল হাসান সাত সদস্য বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন।