সু চির মামলার রায় হবে ১০ জানুয়ারি
সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় এক ডজন মামলা করেছে জান্তা।
প্রথম নিউজ ডেস্ক: মিয়ানমারের কারাবন্দি নেত্রী অং সান সু চির অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা বিষয়ক মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন নেইপিদোর বিশেষ আদালত। আজ সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় এক ডজন মামলা করেছে জান্তা। নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রত আদালতেই বিচার চলছে সেগুলোর। সবগুলোতে যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে তাকে কারাগারে কাটাতে হবে এক শতাব্দীরও বেশি সময়। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলন ও তার জয়ে যার মূলভূমিকা- সেই জেনারেল অং সানের কন্যা সু চি দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকার পর ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিলেন। তারপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি ভূমিধস জয় লাভ করে।
পরে ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনেও বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে তার দল; কিন্তু সামরিক বাহিনী অভিযোগ তোলে- নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। যদিও দেশটির নির্বাচন কমিশন বলেছে- কারচুপির কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
তারপর চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার উচ্ছেদ করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। বন্দি হন সু চি ও তার দলের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
ইতোমধ্যে অবশ্য সুচির বিরুদ্ধে করা একটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলাটি করা হয়েছিল সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া ও করোনা বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। রায়ে সু চিকে দুই বছর কারাবাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: