শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের দাবি সংসদে
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: সরকারি দলের সংসদ-সদস্য নূর মোহাম্মদ শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, অতীতেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ছিল। সরকার কর ফাঁকিদাতাদের বিশেষ সুবিধা দিলেও সৎ করদাতাদের সঙ্গে বৈষম্য করতে পারে না। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে বৈষম্যমূলক ও অনৈতিক বলে দাবি করেন এই সংসদ-সদস্য।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, গত দুই মাস যাবত দেখা যাচ্ছে, শেয়ারবাজার একেবারে তলানিতে। এটা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যা নিয়ে বলার কোনো উপায় নেই। এখানে অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখতে পারতেন। আমি অনুরোধ করছি, যদি সম্ভব হয় শেয়ারবাজারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করবেন। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারের করও প্রত্যাহার করবেন।
সংসদ-সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ করের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে নূর মোহাম্মদ বলেন, আমরা নতুন সংসদ-সদস্য। এটা করতে পারেন যারা বিগত দিনে সংসদ-সদস্য হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে, আমাদের (প্রথমবার নির্বাচিত) ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করতে পারেন।
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ-সদস্য আবু জাহির বলেন, অনেকে সমালোচনা করছেন, এবারের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। বিএনপির আমলে অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান নিজেই কালো টাকা সাদা করেছিলেন, এমনকি তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছিলেন।
নিলুফার আনজুম বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। বাজেটে এটা নতুন কিছু নয়। পঁচাত্তরের পর থেকে শুরু ১৯৭৬ থেকে ৮০ পর্যন্ত ৫০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা সাদা করা হয়। এরপর ৮১ লাখ টাকা। এভাবে চলে এসেছে অদ্যাবধি।
এদিন আলোচনায় আরও অংশ নেন এইচএম ইব্রাহিম, কাজী কেরামত আলী, এসএম কামাল, নাইমুজ্জামান, হাবিবুন্নাহার লাইলী, তৌহিদুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদ, মঈনুল হাসান খান, মাহবুব রহমান, হামিদুল হক খন্দকার প্রমুখ।