শিশুকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখা হয় গোয়ালঘরে

পুলিশ জানায়, গেলো সোমবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল আমেনা। পরদিন তার বাবার কাছে মোবাইল ফোনে দেড়লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা।

শিশুকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখা হয় গোয়ালঘরে

প্রথম নিউজ, নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকায় মুক্তিপণ না পেয়ে মোছা. আমেনা আক্তার নামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের চর হলদিবাড়ি জুম্মাপাড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আমেনা উপজেলার চর হলদিবাড়ী এলাকার মো. আলকাজ আলীর মেয়ে আমেনা আক্তার (৪)।

পুলিশ জানায়, গেলো সোমবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল আমেনা। পরদিন তার বাবার কাছে মোবাইল ফোনে দেড়লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। পরে প্রযুক্তির সাহায্যে একজনকে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবেশী সামিয়া জাহানের গোয়ালঘর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সামিয়াসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

নিহত আমেনার বাবা আলকাজ আলী বলেন, অপহরণকারীরা আমার মেয়ের ঘুমন্ত ছবি ইমোতে পাঠিয়ে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি তো তাদের কথা মতো মুক্তিপণ দিতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাই। আমার মেয়েটার কী দোষ ছিল, তার জীবনটা এমন করে কেড়ে নিলো। আমি বিচার চাই। আমার মেয়ের সঙ্গে এমন হয়েছে আর যেন কারও সঙ্গে না হয়।

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বলেন, নিহত আমেনার বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।