লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৩
প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলায় দেশটির ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অন্তত তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার লেবাননের একাধিক নিরাপত্তা সূত্র ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানির এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দেশটির সূত্রগুলো বলেছে, নাকোরা শহরের কাছের উপকূলীয় সড়কে চলন্ত অবস্থায় একটি গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ওই গাড়িতে থাকা তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এই ঘটনার বিষয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। পরে সেদিনই গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে গাজায় ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও আহত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
এর কিছুদিন পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাথে আন্তঃসীমান্ত সংঘাতে লেবাননে হিজবুল্লাহর দুই শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে প্রায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিকেরও প্রাণহানি ঘটেছে। আর হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক ডজনেরও বেশি সদস্য এবং পাঁচ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
কয়েক মাস ধরে চলা এই হামলা-পাল্টা হামলায় ইসরায়েল-লেবানন— উভয়ের সীমান্তের গ্রামগুলোর লাখ লাখ বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মতো হিজবুল্লাহও ইরানের মিত্র। এই গোষ্ঠীটি বলেছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে তারা।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ হলে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করবে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। তবে গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে হিজবুল্লাহও যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। শুক্রবার লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর চার সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।