রাষ্ট্রপতির সংলাপ জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা: রিজভী
নাগরিকদের সকল স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করেছে এই অবৈধ সরকার।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাষ্ট্রপতির সংলাপ দেশের ভোটারদের প্রতি একধরনের বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি কিসের সংলাপ করছেন? তাহলে আবারও কি হুদা মার্কা নির্বাচন হবে? আবারও কি আরেকটি রকিব মার্কা নির্বাচন হবে? হুদা মার্কা নির্বাচনে আমরা দেখেছি নিশিরাতের নির্বাচন, দিনের বেলায় কোন নির্বাচন হয় না; রাতের অন্ধকারে নির্বাচন হয়। আর রকিব মার্কা নির্বাচনে দেখেছি চতুশ্পদ জন্তু ভোট কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ায়, সেখানে ভোটাররা থাকে না। এই হলো পরিস্থিতি। তাহলে সংলাপের নামে যে ভেল্কিবাজি করা হচ্ছে, সংলাপের নামে যে বায়োষ্কোপ করা হচ্ছে, তার জন্য জাতির কাছে একদিন আওয়ামী সরকারকে জবাবদিহী করতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে নবগঠিত খুলনা জেলা ও মহাগরের নেতাকর্মীদের নিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা জানেন যে আজকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপ শুরু করছেন। আমি শুধু এই টুকু বলতে চাই রাষ্ট্রপতি তো দেশের অভিভাবক। তিনি যদি অভিভাবকই হন সারা জাতি কি চায়? তাদের আকাঙ্খা কি? তাদের কণ্ঠস্বর থেকে কি শব্দ বের হচ্ছে, এটা তো একজন অভিভাবকের উপলব্ধি করা উচিৎ। একটা পরিবারের অভিভাবক যেমন প্রত্যেকটি সন্তানের অভিযোগ শ্রবণ করেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন রাষ্ট্রের অভিভাবকেরও তো সেটাই করার কথা। আজকে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে আইন করার কথা সে আইন করা হয়নি। এ ছাড়া, দেশে সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা কায়েক করা দরকার, সেটা করা হয়নি। তাহলে রাষ্ট্রপতি কিসের সংলাপ করছেন?
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকের এই অবৈধ সরকারের পক্ষ হয়ে রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ করছেন এটা সম্পূর্ণরুপে জনগনের প্রতি এবং দেশের ভোটারদের প্রতি একধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। এই রাষ্ট্রপতি এই সরকারেরই রাষ্ট্রপতি। এই পার্লামেন্টের কেউ জনগনের ভোটে নির্বাচিত হননি, তিনি তো তাদেরই রাষ্ট্রপতি। তিনি তো সরকারের বাহিরে কিছু করবেন না। আর সরকারের কথা শোনা মানেই আরেকটি হুদা মার্কা, আরেকটি রকিব মার্কা নির্বাচন। সুতরাং অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারই দরকার।
রিজভী বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের ভৌগলিক স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যে স্বাধীনতা সেটা আমরা পাইনি। আজকে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায়, এরা যখনি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসিন হয়েছেন, তখনি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন ঠিক কসাইয়ের মতো। নাগরিকদের সকল স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করেছে এই অবৈধ সরকার।
বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে উন্নত চিকিৎসা থেকে তাকে বঞ্চিত করে সরকার নির্দয় নিষ্ঠুর শাসকের পরিচয় দিচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাকে (খালেদা জিয়াকে) উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না।তার শারীরিক অবস্থা এখনও ভাল না। সরকারের আচরণ টিক্কা খান, চেঙ্গিস খানকেও হার মানিয়েছে। সুতরাং এটা হতে পারে না। আজকে বিজয় দিবসের যে মূল বার্তা, সেটা হলো গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
এসময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলালসহ নবগঠিত খুলনা জেলা ও মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: