রূপগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা
আজ শনিবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলার কায়েতপাড়ায় এ কর্মসূচি পালনের সময় হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।
প্রথম নিউজ, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ
উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলার কায়েতপাড়ায় এ কর্মসূচি পালনের সময় হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা। এ সময় শর্টগান, দেশীয় অস্ত্র হাতে অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর চালানো হয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের একটি দোয়া ও রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানেও ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা করেছে। অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র হাতে তারা হামলা করে আমাদের অনুষ্ঠানকে বানচাল করেছে। আমরা তো হামলা মামলার রাজনীতি চাই না। এ জনপদে আমরা শান্তির রাজনীতি ও জনবান্ধব রাজনীতি চাই। অবিলম্বে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং তাদের নির্দেশদাতাদেরও জনগণের কথা ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা তো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি। আমরা মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছি। কেন আমাদের ওপর এ হামলা। মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার এবং দ্রুতই সব হামলা মামলার জবাব জনগণ দেবে।
জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম ইমন জানান, ছাত্রলীগের ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল আজিজ, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেনসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগ নেতা সাগর, গোলজার, মোবারক, সেরাজুলসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা একটি দোয়া অনুষ্ঠানে এভাবে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে। এটি খুবই নিন্দনীয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে সকাল থেকে অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। সেখানে নেতারা বক্তব্যও রাখেন। এর মধ্যে হামলা শুরু হলে বিএনপি নেতারা দ্রুত নিরাপদে সরে যান এবং অনেকে হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এর মধ্যে
অনুষ্ঠানস্থলের প্যান্ডেল চেয়ারসহ খাবারের সরঞ্জামে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে হামলাকারীরা চলে যায়। এদিকে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে এটিকে নিজেদের দলীয় কোন্দলের ফল বলে মন্তব্য করেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ জানান, পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।