রাজধানীর সাতটি স্পটে ‘কালো পতাকা মিছিল’ করতে দেয়নি পুলিশ

আজিমপুর, পীরজঙ্গি মাজারসহ বিভিন্ন স্পট থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রাজধানীর সাতটি স্পটে ‘কালো পতাকা মিছিল’ করতে দেয়নি পুলিশ

প্রথম নিউজ, ঢাকা: দ্বাদশ সংসদ বাতিলের দাবিতে রাজধানীর সাতটি স্পটে ‘কালো পতাকা মিছিল’ করতে দেয়নি পুলিশ। উত্তরার ১২ সেক্টার থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য  আবদুল মঈন খানকে পুলিশ গাড়িতে করে উত্তরা থানায় নেওয়ার পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আজিমপুর, পীরজঙ্গি মাজারসহ বিভিন্ন স্পট থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পীরজঙ্গি মাজারে কালো পতাক মিছিলের কর্মসূচিতে এসে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্‌র চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘মিছিল-মিটিং-শোভাযাত্রা এটা একটা গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। আমরা যথারীতি নিয়ম মেনে পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছি… অবহিত করেছি…আমরা সারা ঢাকায় নয়… ৭টি স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে কালো পতাকার এই কর্মসূচি করব। কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে সবখানে বাধা দিয়েছে। আমরা পুলিশের এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

‘‘ উত্তরা থেকে আমাদের দলের নেতা আবদুল মঈন খানকে পুলিশ আটক নিয়ে গেছে। সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করার পরে আমরা এটাই বুঝতেছি যে, অযথা আমার কর্মীদের দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না, অযথা বাধা দেয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, আমাদেরকে কর্মসূচি করতে দিচ্ছে না পুলিশ।”

রাজধানীতে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ছিলো সাতটি স্পটে।এগুলো হলো উত্তরা ১২ নং সেক্টার, মিরপুর ১২ নং, বাড্ডা লিংক রোড, পীরজঙ্গি মাজার সড়ক মোড়, নিউ মার্কেট, দয়াগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ি।

ডামি নির্বাচনের অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় তত্ত্বাবায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের দিন ঢাকাসহ সারাদেশে এই কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি এবং সমমনা জোটগুলো।

 বেলা ২টায় উত্তরার ১২ সেক্টার কবরাস্থানের কাছে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচিতে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। গাড়ি থেকে নামার পরপরই পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে এবং কোনো কর্মসূচি করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে গাড়ি উঠে নিয়ে যায়।

বেলা ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিলের পীর জঙ্গিমাজার সড়কের মোড়ে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের মুখে পড়েন।

গয়েশ্বর অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দিচ্ছে না, বাধা দিচ্ছে, আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। আজকে আমাদের নেতা-কর্মীরা এখানে এসেছে। তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তারা পুলিশের সংঘর্ষ সৃষ্টি করার কর্মসূচি আমাদের উদ্দেশ্য না। তিনি বলেন, ‘‘ এই সংসদ বৈধ সংসদ নয়। জনগনের অংশগ্রহনবিহীন এই সংসদ।”

‘‘তাদের আত্মতৃপ্তি তারা সরকার গঠন করেছে। কিন্তু আমাদের চলমান একদফার আন্দোলন এটা চলমান থাকবে, আমরা আমাদের আন্দোলন গণতান্ত্রিকভাবে ও শান্তিপূর্ণ পথে অব্যাহত রাখবো।”

পরে গয়েশ্বর গাড়িতে করে চলে যান। কালো পতাকা মিছিল উপলক্ষে পীরজঙ্গি মাজারে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।