যেকোনো মুহূর্তে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে: মঈন খান

রোববার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

যেকোনো মুহূর্তে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে: মঈন খান

প্রথম নিউজ, অনলাইন : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ শূন্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যেকোনো মুহূর্তে এই সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। তবে আমরা রক্ত দিয়েছি, রক্ত আরো দিতে হবে। আমরা রাজপথের আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের রাজপথের আন্দোলনে থাকতে হবে। কিন্তু বিএনপির এই আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক হবে বলেও জানান তিনি। রোববার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে’ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঈন খান বলেন, ৭ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে এই সরকার চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। 

তাদের পায়ের নিচে মাটি সরে গিয়েছে। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন এই সরকার কি আরো ৫ বছর থাকবে? আমি তাদের উত্তরে বলি, যেদিন এরশাদ সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছিলো- তার একদিন আগেও কি সেই সরকার জানতো এভাবে তাদের চলে যেতে হবে? বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ড. মঈন খান আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন ক্ষমতায় জন্য নয়, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলনে বিশ্বাস করে না। বিএনপি জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে। আমরা আন্দোলনে আছি জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। তাদের ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, তাদের অর্থনৈতিক, মানবাধিকার ও সাম্যের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। 

তিনি আরও বলেন, সরকার কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয়, বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছে, এই রাষ্ট্র কোন রাজনৈতিক দলের নয়, এই রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা না কি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, ভালো কথা। তারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, তাদের কাছে এদেশের মানুষ অনেক কিছু প্রত্যাশা করেছিলো। 

আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।