যুক্তরাষ্ট্রে এক মাসে চাকরি ছেড়েছেন ৪৫ লাখ
যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের নভেম্বরে চাকরি ছেড়েছেন ৪৫ লাখ মানুষ
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের নভেম্বরে চাকরি ছেড়েছেন ৪৫ লাখ মানুষ। এটি গত দুই দশকের মধ্যে দেশটিতে সর্বোচ্চ চাকরি ছাড়ার রেকর্ড। এর আগের মাস অক্টোবরে এ সংখ্যা ছিল ৪২ লাখ।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মার্কিনিদের চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে নিউইয়র্ক টাইমস উল্লেখ করেছে, মহামারির পর হোয়াইটকলার চাকরিজীবীরা চাকরিক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকারগুলোকে পুনরায় মূল্যায়ন করছেন। কিন্তু সেবামূলক ও অন্যান্য সেক্টরের কর্মীদের মধ্যে আরও বেশি বেতন পাওয়ার প্রবণতা তৈরি হওয়ায় তারা চাকরি ছেড়ে অন্য কাজে যোগ দিচ্ছেন।
এসব প্রবণতার কারণ হিসেবে মুদ্রাস্ফীতিকে দায়ী করা হয়েছে। কারণ করোনা মহামারির পর দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও সেই অনুযায়ী চাকরিজীবীদের আয় বৃদ্ধি পায়নি। এ ছাড়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এখনও করোনার ক্ষত সারিয়ে উঠতে পারেনি।
এক মাসের মধ্যে এতসংখ্যক মানুষের চাকরি ছেড়ে দেওয়াকে দেশটির শ্রমবাজারে আস্থার প্রদর্শন বলে মনে করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। এতে করে দেশটির চাকরির বাজারে উচ্চ মজুরি আরও কিছু সময়ের জন্য বিরাজ করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সেবাখাত এবং সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স খাতগুলো থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা অনেক বেশি বেড়েছে। একই সঙ্গে পরিবহণ খাত, ওয়্যার হাউসিং ও ইউটিলিটি সেক্টরগুলো থেকেও বেড়েছে চাকরি ছাড়ার ঘটনা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের চারটি অঞ্চলের সবগুলো থেকেই চাকরি ছেড়ে দেওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মিস ওয়েলস নামে এক চাকরিজীবী বলেন, আমাদের নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেলেও সেই অনুযায়ী আমার আয় বৃদ্ধি পায়নি। তিনি করোনার আগে কিছুটা সঞ্চয় করেছিলাম। কিন্তু তার বেশিরভাগই এখন খরচ হয়ে গেছে এই বাড়তি ব্যয়ের কারণে। আমরা আশা করছি এ অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটবে।
তিনি বলেন, আমি যে চাকরিতে ছিলাম সেটি ভালোই ছিল। ভালো বেতন এবং অল্প সময় দিতে হতো। তবে এটির চেয়েও আরও ভালো অফার অন্য জায়গায় রয়েছে। এ কারণে আমি চাকরি ছেড়ে আরেক জায়গায় যাচ্ছি। কারণ আমার চার সদস্যের পরিবারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এ ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: