যে কোনো পরিস্থিতিতে জিততে পারি, এই বিশ্বাসটা আস্তে আস্তে বাড়ছে’
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : প্রথম ম্যাচের ভুলত্রুটি কাটিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরও অনেক বেশি ভালো খেলেছে তামিম ইকবালের দল। অধিনায়কের ব্যাট কথা না বললেও ওপেনার লিটন দাস পুষিয়ে দিয়েছেন।
দারুণ আস্থা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে লিটন খেলেছেন ১৩৬ রানের বড় ইনিংস। তার সঙ্গে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল মুশফিকুর রহিমেরও। শেষ পর্যন্ত তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়া না হলেও মুশফিক প্রমাণ দিয়েছেন, তার ব্যাট এখনও আগের মতই নির্ভরযোগ্য।
প্রথম দিন খাদের কিনারায় পড়ে গিয়েও আফিফ আর মিরাজের হাত ধরে পাওয়া ৪ উইকেটের লড়াকু জয়ই কি দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের ৮৮ রানের বড় জয়ের রসদ? নিশ্চয়ই অমন জয়ে টিম বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। নিজেদের সামর্থ্যের প্রতি আস্থাও অনেক বেড়েছে।
এছাড়া দল হিসেবে বাংলাদেশের ইমেজও গেছে বদলে। অনেক সমালোচকও মানছেন, বাংলাদেশ ওয়ানডেতে আর ছোট দল নেই। এখন টাইগারদের বলেকয়ে হারানো সম্ভব নয়। যে কোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তারা।
আপনার কাছে কী মনে হয়? চাপের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাওয়া জয় কি বাংলাদেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে? বিশ্ব ক্রিকেটে এ জয়ের প্রভাব কী হতে পারে?
জাগো নিউজের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হলে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের জবাব, ‘ওই জয় নিয়ে কে কী ভাবলো, বাইরের দেশে আমাদের দলের ইমেজ কেমন দাঁড়ালো, তা নিয়ে আমি তেমন মাথা ঘামাতে চাই না। আমার কাছে বড় ব্যাপার, আসলে ওই জয়টাকে আমরা কিভাবে নিচ্ছি, দেখছি।’
বাশার যোগ করেন, ‘৪৫ রানে যখন ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো অনেক কঠিন। সেই কঠিন কাজটি খুব ভালোভাবে করেছে আফিফ আর মিরাজ। সেটাকেই আমার কাছে অনেক বড় মনে হয়েছে।’
তার অনুভব-উপলব্ধি, ‘আসলে খারাপ সময়েও মনের ভেতরে বিশ্বাসটা খুব দরকার। আমরা চাপে পড়েছি। কিন্তু আমাদের এখান থেকে জেতার সামর্থ্য আছে, এই আত্মবিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো পরিস্থিতিতেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করলে জিততে পারব, সেই বিশ্বাসটা আস্তে আস্তে বাড়ছে। দল হিসেবে সামর্থ্যের ওপর আস্থা বেড়েছে। এটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ’
আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি প্রথম ম্যাচে এমনভাবে ভয় ধরালেন। আসলেই কি তিনি এতটা ভয়ংকর বোলার? এই ব্যাপারে নির্বাচক বাশারের মূল্যায়ন, ‘ফারুকি দারুণ বোলিং করেছে সত্য। তবে অনেক সময় অচেনা বোলারকে ফেস করতে একটু আধটু সমস্যা হয়। ওকে আমরা যেহেতু আগে খেলিনি, তাই তার সম্পর্কে ধারণাটাও হয়তো কম ছিল। আসল কথা হলো, সেখান থেকে আমরা শেষ পর্যন্ত ফিরে এসেছি। বিপর্যয় কাটিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছি। এটাই বড় ব্যাপার।’
বাশারের পর্যবেক্ষণ, দ্বিতীয় ম্যাচে তামিমের দল ছিল অনেক সাজানো গোছানো। তার ভাষায়, ‘মোর প্রিপেয়ার্ড। উই প্ল্যানড আওয়ারসেলফ ব্রিলিয়ান্টলি। সেকেন্ড ম্যাচে পরিষ্কার চোখে ধরা পড়েছে যে, আমরা খুব প্ল্যান অনুযায়ী ব্যাটিং করেছি। কাকে কীভাবে খেলব, কখন রান করব, কখন একটু রয়েসয়ে খেলবো, কোন বোলারকে কিভাবে হ্যান্ডেল করবো-এগুলো ঠিকভাবে বুঝে একদম পরিকল্পনামাফিক এগিয়েছে আমাদের ব্যাটাররা।’
শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট বাশার। জাতীয় দলের অন্যতম নির্বাচক বলেন, ‘বোলিং খুব ভালো হয়েছে। মিরাজ প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তার অফস্পিনটা খুব ভালো হয়েছে। সাকিব তার মতোই ভালো করেছে। ফাস্টবোলাররাও ভালো করছে। তাসকিনের কালকের স্পেলটা খুব ভালো লেগেছে। শরিফুল তো আউটস্ট্যান্ডিং। মোস্তাফিজও ভালো করছে। তিনজন পেসারই দারুণ করছে।’
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: