মিরপুর ১৩ নম্বরে মাঠ দখল করে মেলা

মিরপুর ১৩ নম্বরে মাঠ দখল করে মেলা
মিরপুর ১৩ নম্বরে মাঠ দখল করে মেলা

প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরে মাঠ দখল করে মেলা বসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে মেলায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধিও।  জানা গেছে,  মেলার দখলে থাকা মাঠটি ডিএনসিসির ৪ নং ওয়ার্ডের একমাত্র পার্ক ও খেলার মাঠ। ঈদের আগের দিন শনিবার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা মাঠ দখল করে মেলা বসিয়েছেন। মাঠটি মিরপুর ১৩ নম্বরের শহীদ মিনার মাঠ হিসেবে পরিচিত।  

অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফাকে ম্যানেজ করে মেলা বসিয়েছেন তার নিকটাত্মীয় ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহাম্মদ মোল্লা। সম্পর্কে সৈয়দ আহাম্মদ মোল্লা কাউন্সিলর জামাল মোস্তফার স্ত্রীর ভাই। মেলার সার্বিক সহযোগিতায় স্থানীয় অপূর্ব যুব সংঘ ক্লাব।  দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ১০ দিনের জন্য মেলার অনুমতি নিয়েছে অপূর্ব যুব সংঘ। 

সোমবার রাতে সরেজমিন দেখা যায়, মেলার চারপাশ লাল, নীল ও হলুদ বাতিতে সয়লাব। আলোক সজ্জার ঝলকানি দিনের আলোকেও হার মানায়। আবালবৃদ্ধবনিতার কোলাহলে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। কারও মুখে মাস্ক নেই। গাদাগাদি করে লোকজন হাঁটছে। মেলায় ৫০টির মতো অস্থায়ী দোকান রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতার কারও মুখে মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্ব।  দোকানগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোকজনের সমাগম থাকে মেলায়।  

স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ কর্মকার বলেন, মহল্লার একমাত্র খেলার মাঠটি দখল করে মেলা বসেছে । বাচ্চারা খেলবে কোথায়? লোকজন যেভাবে মেলায় আসে তাতে করোনা সংক্রমণ না বেড়ে উপায় নেই । বিদ্যুতের অবৈধ লাইন টেনে মেলায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। একদিকে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারি নির্দেশ মানা হচ্ছে না। মেলার কারণে আবাসিক এলাকার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। 
  
স্থানীয় বাসিন্দা মজনু শেখ বলেন, ঈদের আগের দিন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের আত্মীয় ও আওয়ামী লীগ নেতা  সৈয়দ আহাম্মদ মোল্লা ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। কাউন্সিলরকে ম্যানেজ করে তিনি ১০ দিনের জন্য মেলা বসিয়েছেন। এলাকার সবাই তা জানে। অনুষ্ঠানের ব্যানারেও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম রয়েছে।  কাউন্সিলরের জ্ঞাতসার ছাড়া এখানে মেলা বসানো অসম্ভব। 
 
এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহাম্মদ মোল্লা বলেন, আমি মেলা সম্পর্কে কিছুই জানি না। তবে যতটুকু জানি বাচ্চাদের ৪-৫টি খেলনা বসানো হয়েছে। ওখানে বাচ্চারা একটু লাফালাফি করবে।  আমার পরিচিত অপূর্ব যুব সংঘের কিছু লোকজন এটা দিয়েছে। এটাকে মেলা বলা ঠিক হবে না। আপনি সরেজমিন এসে দেখে যান। দরকার হলে আমাকেও কল দিয়েন। 

এ বিষয়ে ডিএনসিসির ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, কীসের মেলা। আমি তো জানি না। ঈদের আগের দিন আমি দেশে এসেছি।  কে মেলা বসিয়েছে। খোঁজখবর নিতে হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি হাসপাতলে রয়েছি। আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ মেলা বসালে সেটিরও খোঁজখবর নেব। কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের মিরপুর বিভাগের ডিসি অফিস থেকে মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

আলোকসজ্জার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোকসজ্জা তো করার কথা না। আজকে খোঁজখবর নিয়ে দেখব আসলে এটি করা  হয় কিনা। 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom