মিরপুর চিড়িয়াখানা সড়কের পাশ থেকে মর্টার শেল উদ্ধার

মর্টারশেলটি ছিল সক্রিয়, বিস্ফোরিত হলে ক্ষয়ক্ষতি হতো: র‌্যাব

মিরপুর চিড়িয়াখানা সড়কের পাশ থেকে মর্টার শেল উদ্ধার

প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা সড়কের পাশ থেকে একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে শেলটি উদ্ধার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দল। সড়কের পাশে একটি ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় মর্টার শেলটি পাওয়া যায় বলে জানায় র‍্যাব।

র‍্যাব সূত্র বলছে, চিড়িয়াখানা সড়কের ৮ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারের পাশে একটি ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। একপর্যায়ে মাটির দুই থেকে আড়াই ফুট গভীরে শ্রমিকেরা মর্টার শেলটি দেখতে পান।

পরে বাড়ির মালিক বিষয়টি র‍্যাবকে জানান। খবর পেয়ে র‍্যাবের বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা মর্টার শেলটি উদ্ধার করেন।

মেজর মশিউর রহমান জানান, উদ্ধার করা মর্টার শেলটি আজ দুপুরের দিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হবে।

এদিকে র‌্যাব জানায়, মর্টারশেলটি সক্রিয় ছিল এবং এটি বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি হতো।  মর্টারশেলটি উদ্ধারের পর পুলিশের এ এলিট ফোর্স জানিয়েছে, মর্টারশেলটি ছিল দীর্ঘদিনের পুরোনো। এর আয়তন ছিল ৬০ মিলিমিটার। এটি ছিল সক্রিয় এবং বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনো মানুষ থাকলে স্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো।

বোমাটি উদ্ধারের পরে বেরিবাঁধ সংলগ্ন গোড়ান চটবাড়ি এলাকায় নিয়ে ডিসপোজাল (বিস্ফোরিত) করে র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট। এসময় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত আশেপাশের লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়। 
র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে একটি বাসার খননকাজ করার সময় মর্টারশেল পাওয়া যায়। প্রথমে র‌্যাব-৪ মর্টারশেলের খবর পেয়ে র‌্যাব সদরদপ্তরের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। আমরা এসে দেখতে পাই, মর্টারশেলটি ৬০ মিলিমিটার। এর গায়ে ময়লা ও জং ধরে থাকার কারণে এটি কোথায় তৈরি তা বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, খনন করা মাটিতে বোম ডিসপোজালের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সার্চ করে দেখেছি, আরও কোনো বোম সেখানে রয়েছে কি না। তবে আমরা আর কোনো বোমের সন্ধান পাইনি।

বোমটি কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে এলো- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মেজর মো. মশিউর রহমান বলেন, বোমটির দুটি উৎস হতে পারে। হতে পারে এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অথবা পরবর্তীতে কেউ এটি মাটির নিচে পুঁতেও রাখতে পারে। বোমটির গায়ে মার্কিনগুলো দেখা যাচ্ছে না, তাই প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না কোথায় তৈরি।

মর্টারশেলটি সক্রিয় কি না- জানতে চাইলে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এ কর্মকর্তা বলেন, মর্টারশেলটির ভেতরে এক্সপ্লোসিভ রয়েছে। হয়তো দূর থেকে এটি ফায়ার করা হয়েছিল, এখানে এসে পড়েছিল। সুতরাং এটি আংশিকভাবে সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে নাড়াচাড়া করলে অথবা বাইরের বল প্রয়োগ করলে মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হতে পারে।

বিস্ফোরিত হলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মর্টারসেলটির আয়তন ৬০ মিলিমিটার। বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনো মানুষ থাকলে স্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো। বোমটি উদ্ধারের পর নিরাপদ দূরত্বে রেখে দেওয়া হয়েছিল, যাতে এর আশেপাশে কেউ প্রবেশ করতে না পারে৷ সঙ্গে র‌্যাবের টহল ইউনিটও ছিল।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom