মির্জা ফখরুল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চান: তথ্যমন্ত্রী
রাজধানীর মতিঝিলে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে শুক্রবার বোয়ালখালী সমিতি, ঢাকার বার্ষিক মেজবান ও কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: আন্দোলন থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে সরকার সংলাপের কথা বলছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চায়, নির্বাচনকে প্রতিহত করতে চায়, তাদের সঙ্গে সংলাপ করে কোনো ফায়দা নেই। দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা কোনো সংলাপের কথা বলিনি। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মনে করি না। বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চান। রাজধানীর মতিঝিলে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে শুক্রবার বোয়ালখালী সমিতি, ঢাকার বার্ষিক মেজবান ও কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আন্দোলন থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে সরকার সংলাপের কথা বলছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চায়, নির্বাচনকে প্রতিহত করতে চায়, তাদের সঙ্গে সংলাপ করে কোনো ফায়দা নেই। বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বরং এসব কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চান।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমির হোসেন আমু সংলাপ নিয়ে যা বলেছিলেন তার ব্যাখ্যা পরদিনই তিনি দিয়েছেন। প্রথমে তিনি যা বলেছিলেন সেটি তার নিজের অভিমত ছিলো; আমাদের দল আওয়ামী লীগ, সরকার বা ১৪ দলের কারও অভিমত ছিলো না। এর আগে মেজবান ও পুরস্কার বিতরণী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বোয়ালখালীবাসীর ভূমিকা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের অনেক সহযোদ্ধার বাড়ি ও আস্তানা ছিল বোয়ালখালীতে। শহরের নিকটতম হওয়ায় বোয়ালখালীর মানুষ আগে থেকেই অন্য উপজেলার চেয়ে বেশি শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা ছিল। এই আধুনিক ও মোবাইল সংস্কৃতির যুগে তাদের বলীখেলা এখনও প্রসিদ্ধ। চট্টগ্রামের মেজবান সংস্কৃতিও গত এক দশকে সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’
সমিতির দাবি-দাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই কালুরঘাটে নতুন কর্ণফুলি সেতু হবে। পদ্মা সেতুর মতো সেটিতে রেল ও সড়ক দুই সংযোগই থাকবে। এই সেতু নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখতে কালুরঘাট সেতু সংস্কারে হাত দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সড়ক দুই থেকে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর ফলে বোয়ালখালীতে শিল্পায়ন বাড়বে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বোয়ালখালীর মানুষ ১৪ বছর পর বিদেশ থেকে ফিরে আজ নিজের এলাকা চিনতে পারে না। আগে দিনমজুর, রিকশাচালকদের দিনে সাড়ে তিন কেজি চালের সমান মজুরির জন্য আন্দোলন হতো। এখন ৫০ টাকা কেজি দরে চালও দিনে ১০ কেজি কেনার মতো আয় তাদের। ‘আগে বিদেশিদের পুরনো কাপড় ধুয়ে, আয়রন করে বাজারে বিক্রি হতো। এখন আমাদের রপ্তানি করা কাপড় বিদেশিরা পরে। গ্রাম-শহরের পার্থক্য ঘুচে গেছে। গ্রামের ছেলেরাও এখন থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আয়োজক সংগঠন বোয়ালখালী সমিতি, ঢাকার সভাপতি মো. লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আনসারী ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবদুস সোবহান সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।