মদের বিল চাওয়ায় বারে ছাত্রলীগের হামলা ভাঙচুর লুট

শনিবার আনুমানিক রাত ১১টার দিকে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ওই বারে মদপান করার জন্য যান।

মদের বিল চাওয়ায় বারে ছাত্রলীগের হামলা ভাঙচুর লুট

প্রথম নিউজ অনলাইন: মদ্যপানের পর বিল চাওয়ায় বারে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার মধ্যরাতে মহাখালীর জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনাল বারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বনানী থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্যাশ ভেঙে কয়েক লাখ টাকা ও ১২০ বোতল মদ লুটের অভিযোগ করা হয়েছে।

ঘটনার সময় বারে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার আনুমানিক রাত ১১টার দিকে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ওই বারে মদপান করার জন্য যান। মদপান শেষে বিল দেওয়ার কথা বললে তারা বারের ম্যানেজারসহ অন্যান্য স্টাফদের ওপর হামলা করে। তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন বার ম্যানেজার। 

পরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়লকে ফোনে জানালে হল থেকে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পাঠানো হয়। তারা বারের গেট তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।

বারের কর্মচারী উজ্জল মিয়া বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিতুমীর কলেজের কয়েকজন ছেলে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। তারপর আমাদের বারে এসে হামলা চালায়। এ সময় ক্যাশ ভেঙে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। 

তিনি আরও জানান, ছাত্রলীগ নেতারা ৭৫ ইঞ্চি একটি টিভি, ২০ থেকে ২৫টি চেয়ার ভাঙচুর করে। বারে থাকা প্রায় চার লাখ টাকার ৪০ বোতল ফরেন হুইস্কি লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ৮০ বোতল কেরুর মদ লুট করে।

বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হোটেল বারে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে ৪-৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে ৫০ জনকে। মামলার তদন্ত কাজ চলছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বার কর্তৃপক্ষ জানায়, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগরের নেতৃত্বে এ ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় আরও যারা ছিলেন তাদের মধ্যে আছেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন রাহুল, সুলতান ও শাওন, সহ-সম্পাদক শাওন ও সাব্বির, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নিলয় সেন, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মামুন এবং কর্মী কাউসার, শাহিন মাতুব্বর প্রমুখ।