মিঠুনের গোপন কথা ফাঁস করলেন ছেলে
প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। জাতীয় পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন এ বাঙালি অভিনেতা। কমার্শিয়াল ছবির পাশাপাশি অন্য ধারার ছবিতেও অভিনয় করেছেন ‘ডিস্কো ডান্সার’ তারকা। তার অভিনয়-নাচে মুগ্ধ সবাই। তবুও নতুন শতাব্দীর একদম শুরুর দিকে একাধিক বি গ্রেড ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন। কেন সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারকা? বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতার বড় ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমো চক্রবর্তী।
কয়েক মাস আগেই এক সাক্ষাৎকারে মিঠুনের ছোট ছেলে নমশি চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘গুন্ডা’র মতো বি গ্রেড ছবিতে কাজ করাটা মিঠুনকে সাজে না। তার ওই ছবি করা উচিত হয়নি। সিদ্ধার্থ কানানের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় মিঠুনের বড় ছেলে মিমো বলেন, আমাদের চেয়ে মা বাবার উত্থান-পতনটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন। যখন আমরা ছোট ছিলাম, তখন বাবার একটা ছবি বক্স অফিসে ফ্লপ করলেই উনি অবসাদে ভুগতেন। চার শিফটে কাজ করতেন তিনি… এখানে ভ্যানিটি ভ্যানের প্রচলনে বাবার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে।
মিঠুনের বি গ্রেড ছবি করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন মিমো। তার কথায়, তিনি আমাদের জন্যই ওই ছবিগুলো করেছেন। ওনার হোটেল ব্যবসার জন্য। তখন উটিতে শুটিং হলেই বলিউড বা দক্ষিণী ছবির পুরো ইউনিট আমাদের হোটেলে থাকত, যা ব্যবসার জন্য খুবই ভালো। বাবা টাকার জন্য ছবিগুলো করেছে। তার মানে এই নয় যে প্রযোজকদের টাকা জলে গেছে। ৭০ লাখ টাকা বাজেটের ছবি বক্স অফিসে ১ কোটি রিটার্ন দিয়েছে। আজও তিনি থেমে নেই। তিনি ডান্স বাংলা ডান্স, ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স করছেন… বাবা যা করে সবটা পরিবারের জন্য। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বাবার ভাবনায় পরিবারই শেষ কথা।
কলকাতা থেকে মুম্বাই এসে লম্বা সময় স্ট্রাগল করেছেন মিঠুন। তার মাথায় ছাদ ছিল না, খাওয়ার জন্য পকেটে পয়সাও ছিল না। অভিনেতা হতে গিয়ে গায়ের রঙের জন্য কটাক্ষ শুনেছেন, তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। বাবার স্ট্রাগলের গল্প শুনলে ভাই-বোনেরা শিউরে উঠে বলে জানান মিমো। মিঠুন আর যোগিতা বালি বিয়ে করেন ১৯৭৯ সালে। বড় ছেলে মহাক্ষয়ের জন্ম হয় ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে। পরে আরও দুই ছেলে সন্তান নমশি ও উষ্মের জন্ম দেন যোগিতা। তাদের এক মেয়ে সন্তানও রয়েছে দিশানি। তাকে দত্তক নিয়েছিলেন মিঠুন।