Ad0111

বাংলাদেশ কোনো বিশেষ দল নয়, নাগরিকদের দেশ বানাতে হবে : নজরুল

তারেক রহমানের নেতৃত্বে লড়াই করতে হবে

বাংলাদেশ কোনো বিশেষ দল নয়, নাগরিকদের দেশ বানাতে হবে : নজরুল
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম খান

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশ কোনো বিশেষ দলের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত ‘একটি ভোরের প্রতীক্ষায়’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বইটি সংকলন করেছেন লন্ডন প্রবাসী ডা. আব্দুল আজিজ ও সায়েক এম রহমান। বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ছাড়াও অনুষ্ঠানে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মরহুম মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশকে যেভাবে দলীয় দেশে পরিণত করা হয়েছে এর থেকে আমাদের মুক্ত করতে হবে। এটা কোনো বিশেষ দলের দেশ হতে পারে না। এটা বাংলাদেশের নাগরিকদের দেশ বানাতে হবে। সেরকম একটা দেশ বানাতে হলে জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়ার আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে লড়াই করতে হবে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) ৭২-এর সংবিধানের কথা বলেন। ৭২-এর সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারির কোনো বিধান ছিল না। সে বিধান তারাই সংবিধানে যুক্ত করেছে এবং তারাই প্রথম জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তারা আজকে ইনডেমনিটির কথা বলে, ইনডেমনিটি তো তারাই প্রথম রক্ষীবাহিনীকে দায় মুক্তি দেওয়ার জন্য করেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘তথাকথিত এক/এগারো সরকার, যে সরকারের সাংবিধানিক কোনো ভিত্তি ছিল না। একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করবে, সেই ৯০ দিন প্রায় শেষ, সেই সময় নতুন একটা সরকার, তারা ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবে না, এটা জানা সত্ত্বেও তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কে গিয়েছিল। বিএনপি তো যায়নি, আওয়ামী লীগ এবং তাদের সাথীরা গিয়েছিল। সেই সরকার যে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, সেই জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে নির্বাচন করতে রাজি ছিল আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোটের সাথীরা। একমাত্র খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন যে, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার না করলে আমি নির্বাচনে যাব না। তার দাবির মুখে জরুরি অবস্থা বাতিল করতে হয়েছে, মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে।’

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষী দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার বার বার ফিরিয়ে দিয়েছে বিএনপি। এবারও ইনশাল্লাহ ফিরিয়ে দেবে। একটু আগে আলাল বলেছে, বিএনপির লোক তো বটেই এমনকি আওয়ামী লীগের লোকও এখন ভোট দিতে পারে না। হয় ভোটই হয় না, ৩০০’র মধ্যে ১৫৩ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যায়, না হলে ভোটের আগের রাতেই ভোট শেষ হয়ে যায়। ভোট দেওয়ার কোনো দরকার নেই। এই হলো গণতন্ত্রের লেবাসধারী আওয়ামী লীগের চরিত্র। এক সময় তারা সব দলকে বাতিল করে দিয়েছিল, এখন আইন করে দল বাতিল করে নাই, কিন্তু কোনো দলকে কাজ করতে দেওয়া হয় না।

জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উপদেষ্টা ফয়সল মাহমুদ ফয়জীর সভাপতিত্বে ও মঞ্জুর হোসেন ইসার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, ছাত্রদল নেতা ইসহাক সরকার, মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম সেকুল প্রমুখ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news