ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা
উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি, কুপিয়ে হত্যার কোনো ঘটনা ঘটেনি। মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তিকে কোপানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রথম নিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধে জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আব্দুর রশিদ (৫৫) নামে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৬ জুলাই) রাতে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি, কুপিয়ে হত্যার কোনো ঘটনা ঘটেনি। মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তিকে কোপানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত আব্দুর রশিদ ওই এলাকার মৃত মতি মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দেশে ফেরেন।
নিহতের চাচাতো ভাই তাহের মিয়ার অভিযোগ, রসুলপুর শাহী নূর জামে মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে উম্মেদ আলী সভাপতি ও সাবেক মেম্বার ফিরোজ মিয়া সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বুধবার মাগরিবের নামাজের পর মসজিদ কমিটির হিসাব-নিকাশ নিয়ে সভায় বসেন গ্রামের বাসিন্দারা। এসময় স্থানীয় মৃত লিয়াকত মিয়ার ছেলে লিটন ও মৃত আনসার আলীর ছেলে জিল্লু মিয়া দাবি করেন, তাদের বাড়ির সফর আলীকে মসজিদের সভাপতি করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির বর্তমান সেক্রেটারি ফিরোজ মেম্বারের ভাতিজা প্রবাসী আব্দুর রশিদ। তিনি মাত্র পাঁচদিন আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। লিটন ও জিল্লুর কথার পরিপ্রেক্ষিতে সভায় আব্দুর রশিদ বলেন, মসজিদ কমিটি নিয়ে দলাদলির দরকার নেই। যে কমিটি আছে, সেটাই থাকবে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আব্দুর রশিদের বাগবিতণ্ডা হয়। এশার নামাজের পর আব্দুর রশিদের ওপর লিটন ও জিল্লু এবং তাদের সহযোগীরা হামলা করে। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে সরাইল সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘মারা যাওয়ার বিষয়টি সরাইল থানার ওসি আমাকে জানিয়েছেন, মসজিদের হিসাব-নিকেশ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও কথা কাটাকাটি হয়। সেখান থেকে আব্দুর রশিদ অসুস্থ অনুভব করায় বাড়িতে ফিরে যান। বাড়ি থেকে তাকে সরাইল উপজেলা সদরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘মারা যাওয়ার পর সেই বেসরকারি হাসপাতালে সরাইল থানার ওসিও উপস্থিত ছিলেন। ওসির ভাষ্যমতে, বেসরকারি হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাত করা হয়েছে। তারপরও যেহেতু একজন মারা গেছেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদেরকেও আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।’
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews