বেরোবিতে ছাত্রী হলে বিক্ষোভ, প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার

শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে হলের সামনে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও পরে ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি দাবি তোলে শিক্ষার্থীরা।

বেরোবিতে ছাত্রী হলে বিক্ষোভ, প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার

প্রথম নিউজ, বেরোবি প্রতিনিধি: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে হলের সামনে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও পরে ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি দাবি তোলে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, হলের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা লেগেই আছে। রমজান মাস আসার পর থেকে বিকাল বেলা বিদ্যুৎ থাকে না। বিষয়টি নিয়ে হলের অফিসে বারবার জানানো হলেও কোন সমাধান আসেনি। পরে বাধ্য হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট তানিয়া তোফাজকে ফোন দেন তারা। ফোন পেয়ে হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সাথে রূঢ় আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন শুরুর পরপরই প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোস্ট বডিসহ ছাত্র পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম দপ্তরের পরিচালক এবং বেরোবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক নেতা ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে রাত প্রায় ১০টায় হলে ফেরে যায় আন্দোলনকারী ছাত্রীরা।
হল ও প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রত্যেক রুমে দুই থেকে তিনটি বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা। সে হিসেবে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০টি বৈদ্যুতিক হিটার একটি হলে ব্যবহৃত হচ্ছে। রমজান মাসে সবাই বিকেলের পর প্রায় একই সময়ে রান্নার জন্য বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার করায় ওভারলোডের কারণে লোডশেডিং হয়। হল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরেও হিটার ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। ফলে বারবার চেষ্টা করেও এ সমস্যার কোন সমাধান করতে পারিনি কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট তানিয়া তোফাজ বলেন, শিক্ষার্থীরা আগামীকাল তাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে জানালে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমাধানের ব্যবস্থা করব। শিক্ষার্থীদের সাথে রূঢ় আচরণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আনঅফিসিয়ালি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, আন্দোলনের কথা শুনে আমি প্রথমে সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। পরে আমি নিজেও সেখানে যাই। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সব যৌক্তিক ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সব সমস্যার সমাধান করা হবে। ইলেক্ট্রিসিটির যে সমস্যা ছিল সেটার সমাধান ইতিমধ্যে করা হয়েছে। আশা করি বাকিগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom