বিপর্যয় অনিবার্য, তবে হাল ছেড়ে দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য : বাইডেন
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে দেশটির প্রায় আড়াইশো বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ফিরছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ট্রাম্পের এই জয়কে ‘ন্যায্য’ ও ‘স্বচ্ছ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। বাইডেন বলেন, লড়াইয়ে হেরে গেছি। বিপর্যয় অনিবার্য, কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন— এক মেয়াদ বিরতির পর দ্বিতীয় দফায় চার বছরের মেয়াদে হোয়াইট হাউসের জন্য ট্রাম্পের জয় ‘ন্যায্য’ ও ‘স্বচ্ছ’ হয়েছে এবং আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রোজ গার্ডেনে হোয়াইট হাউসের সহযোগীদের সাথে কথা বলার সময় বাইডেন আরও বলেন, ট্রাম্প তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে পরাজিত করেছেন এবং তিনি সেটি মেনে নিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “জনগণের ইচ্ছা সবসময়ই জয়ী হয়। যেমনটি আমি অনেকবার বলেছি, আপনি যখন জিতবেন শুধু তখনই দেশকে ভালোবাসবেন তা হয় না। এবং শুধু একমত হলেই আপনি আপনার প্রতিবেশীকে ভালোবাসবেন— তাও হয় না।”
বাইডেন আরও বলেন, “আমরা এই লড়াইয়ে হেরে গেছি। বিপর্যয় অনিবার্য, কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য। আমরা ঠিক হয়ে যাচ্ছি, তবে আমাদের ব্যস্ত থাকতে হবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর সর্বোপরি আমাদের বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাইডেন তার একক মেয়াদের এই ক্ষমতায় থাকাকে “ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্সি” হিসাবে উল্লেখ করেছেন যা আগামীতে বছরের পর বছর “মানুষের জীবন পরিবর্তন” করবে। বিশেষ করে দেশজুড়ে অবকাঠামোগত উন্নতির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করার মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন বাইডেন।
বৃহস্পতিবার রোজ গার্ডেনে সাত মিনিটের ভাষণে তিনি বলেন, তিনি তার রিপাবলিকান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং এখন তার উত্তরসূরি (ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে) “বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি” তুলে দিতে চলেছেন।