বিদেশি পরামর্শক নির্ভরতা কমাতে চায় জ্বালানি বিভাগ

জ্বালানি সচিব মো. মাহবুব হোসেন বৈঠকে বলেন, যৌথ দরকষাকষির দক্ষতা বৃদ্ধিতে ওয়েব-ভিত্তিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে অভিজ্ঞদের এনে প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। পরামর্শক এবং কারিগরি কাজ করার ক্ষেত্রে বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে।

বিদেশি পরামর্শক নির্ভরতা কমাতে চায় জ্বালানি বিভাগ
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সরকারি প্রকল্পে প্রায়ই বিদেশনির্ভর হতে হয় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিভাগকে। প্রকল্প গ্রহণের শুরুতেই এজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। এজন্য বিদেশ নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, সম্প্রতি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণে আয়োজিত এক বৈঠকে জ্বালানি বিভাগের সচিব এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

জ্বালানি সচিব মো. মাহবুব হোসেন বৈঠকে বলেন, যৌথ দরকষাকষির দক্ষতা বৃদ্ধিতে ওয়েব-ভিত্তিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে অভিজ্ঞদের এনে প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। পরামর্শক এবং কারিগরি কাজ করার ক্ষেত্রে বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে।

জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এখন আমাদের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। আমরা দেশের বাইরে থেকে গ্যাস আমদানি করছি। এছাড়া, অনেক আগে থেকেই আমরা জ্বালানি তেল আমদানি করছি। দেশেও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ চলছে। এজন্য খুব ভালো মানের নেগোসিয়েশন বা দরকষাকষি প্রয়োজন হয়। কোথাও একটু ভুল হলেই দীর্ঘমেয়াদি লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেটাই করতে যাই না কেন, একটি সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে করাতে হয়। আমাদের যদি এই অভিজ্ঞতা থাকতো তবে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হতো। জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বাপেক্স স্থলভাগের তথ্য যোগাড় করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই তথ্য বিশ্লেষণ সঠিক হয় না। ফলে দেখা গেলো অনেক ক্ষেত্রে ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতেও বিপুল অর্থের অপচয় হয়।

একই সমস্যা রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগেও। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সম্ভাব্যতা জরিপের পাশাপাশি যে পরমর্শের প্রয়োজন হয়, তা বিদেশিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে গ্রহণ করতে হয়। আবার বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করায় তাদের আন্তর্জাতিক মুদ্রা বা ডলারে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। দেশের কোনও প্রতিষ্ঠান এ কাজ করলে ওই অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করলেই চলতো। নিজস্ব স্বক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ করলেও নির্মাণ এবং পরিচালনা ও সংরক্ষণের সব কাজ করে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। এসব কাজ করার জন্য সরকারের কোনও বিশেষায়িত কোম্পানি নেই। দীর্ঘদিন থেকে সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে কথা বলা হলেও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom