বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করতে আ.লীগ রাজনীতি করে না : কাদের

আজ শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করতে আ.লীগ রাজনীতি করে না : কাদের

প্রথম নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ব্রিকসে যোগদান নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নয়। পাশ্চাত্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেও ভারত ও আফ্রিকা ব্রিকস ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছ থেকে দেশের জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা সরকার ব্রিকস-এ যোগদান করছে। বিএনপির মতো বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন না। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে।

আজ শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান তিনি। 

কাদের বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ঐতিহ্যগতভাবেই গোলাম আযমের দল জামায়াতে ইসলামী বিএনপির ঘনিষ্ঠ মিত্র। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিল এবং তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গোলাম আযমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে একাকার হয়ে সরকার গঠন করে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধুলিসাৎ করে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করেছে। বিএনপির শাসনামলে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতি বাংলাদেশে জোরদার হয় এবং জামায়াতের ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সঙ্গে বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে ফুলেফেঁপে বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সচেতন মানুষ মাত্রই জানে জামায়াতে ইসলামী হলো বিএনপির বি-টিম।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া, হরতালের নামে আগুন সন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারা, গাছ কাটা, ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার যে ইতিহাস বিএনপি সৃষ্টি করেছিল সেটি বেশিদিন আগের নয়। বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেও দেশের মানুষ বিএনপির সেই সহিংসতার কথা ভুলে যায়নি। আসলে নিজেদের এসব অপকর্ম আড়াল করতেই বিএনপি নেতারা সবসময় অপপ্রচার চালায় এবং সরকারি দলের লোকেদের ওপর দোষ চাপিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার উপলক্ষ্য খোঁজে।